শিরোনাম
কাঠমান্ডু, ১৫ এপ্রিল, ২০২৩ (বাসস ডেস্ক) : এভারেস্টে নিখোঁজ তিন নেপালি পর্বতারোহীর সন্ধান কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে উদ্ধারকারীরা ।
কর্মকর্তারা শনিবার বলেছেন, পর্বতারোহণের চলতি মৌসুমে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতে প্রথম এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
এই তিন পর্বতারোহী বুধবার একটি সরবরাহ মিশনের অংশ হিসাবে খুম্বু বরফপ্রপাত অতিক্রম করছিল এ সময় হিমবাহের বরফের একটি ব্লক তাদের ওপর পড়ে এবং তারা একটি গভীর খাদের নিচে চলে যায়।
পর্যটন বিভাগের কর্মকর্তা বিগ্যান কৈরালা এএফপিকে বলেন, ‘অনেক অনুসন্ধান ও উদ্ধার প্রচেষ্টার পর অভিযান বাতিল করা হয়েছে। তারা অনেক গভীরে চাপা পড়ে আছে এবং মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব বলে মনে হচ্ছে না।
খুম্বু বরফপ্রপাত হল হিমবাহের বরফের একটি বিপজ্জনক, সদা-পরিবর্তনশীল বিস্তৃতি, এটি অতিক্রমের জন্য পর্বতারোহীদের মই ব্যবহার করতে হয়।
সমস্ত পর্বতারোহীদের অবশ্যই পর্বতের ৮,৮৪৯-মিটার (২৯,০৩২-ফুট) চূড়ার পথে এটি অতিক্রম করতে হবে।
অভিযাত্রী সংস্থা ইমাজিন নেপালের মিংমা গ্যালজে শেরপা শুক্রবার গভীর রাতে ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে বলেছেন, ‘আজ সকালে আমরা তাদের খুঁজে বের করতে ফিরে গিয়েছিলাম এবং এলাকাটি শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছি কিন্তু তাদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি।’
সংস্থাটি তাদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে শোক প্রকাশ করেছে।
‘আমাদের হৃদয় দুঃখে ভারাক্রান্ত কারণ আমরা এই সাহসী ভাইদের হারানোর জন্য শোক করছি যারা তাদের জীবনকে পথপ্রদর্শক হিসেবে উৎসর্গ করেছেন।’
নেপালি গাইড সাধারণত এভারেস্টের চারপাশের উপত্যকা থেকে আসা জাতিগত শেরপারা হিমালয়ের আরোহণ শিল্পের মেরুদন্ড হিসেবে বিবেচিত হয়।
এভারেস্টে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর প্রায় এক তৃতীয়াংশ এই নেপালি গাইড। বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে পৌঁছানোর লক্ষ্যে শত শত অভিযাত্রীর সেবায় তারা ঝুঁকি নিয়ে থাকেন।
প্রতিটি অভিযানের জন্য, তারা তাঁবু, খাবার এবং অক্সিজেনের বোতল উচ্চ-উচ্চতা শিবিরে ফেরি করার জন্য বেশ কয়েকটি বিপজ্জনক ভ্রমণ করে।
২০১৪ সালে, তুষার, বরফ এবং পাথরের একটি বিশাল খন্ড আছড়ে পরায় ১৬ জন নেপালি গাইডকে বরফ প্রপাতের মধ্যে প্রাণ হারাতে হয়। যা হিমালয়ের সবচেয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনাগুলির মধ্যে একটি।
বিশ্বের ১০টি সর্বোচ্চ শৃঙ্গের মধ্যে আটটির অবস্থান নেপালে এবং প্রতিটি বসন্তে আরোহণের ঋতুতে শত শত অভিযাত্রীকে স্বাগত জানায়, যখন তাপমাত্রা উষ্ণ থাকে এবং বাতাস সাধারণত শান্ত থাকে।
নেপাল সরকার এই মরসুমে এভারেস্টের জন্য ২৪৩ সহ হিমালয়ের বিভিন্ন পর্বতমালার জন্য মোট ৫শ’টিরও বেশি পর্বতারোহী দলের অনুমতি দিয়েছে।