শিরোনাম
কাবল, (পাকিস্তান), ২৫ এপ্রিল, ২০২৩ (বাসস ডেস্ক): পাকিস্তানের একটি থানার অস্ত্রের গুদামে সোমবার একাধিক বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১২ জনের প্রাণহানী হয়েছে। মৃতদের বেশিরভাগই পুলিশ সদস্য। কর্মকর্তারা এ কথা জানান।
বিস্ফোরণে আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সোয়াত উপত্যকার কাবাল শহরে অবস্থিত বিশেষজ্ঞ কাউন্টার টেররিজম স্টেশনটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পাকিস্তান পুলিশের উপর উচ্চ জঙ্গী হামলার ধারাবাহিকতায় এ ঘটনা ঘটেছে, যে সব হামলার অধিকাংশের সঙ্গে স্থানীয় তালেবান শাখার যোগসূত্র রয়েছে। এবং এই ঘটনা প্রাথমিকভাবে নতুন হামলার আশঙ্কা তৈরি করেছে। তবে সোয়াত পুলিশ প্রধান শফি উল্লাহ গান্দাপুর বলেছেন, বেসমেন্টে গ্রেনেড ও অন্যান্য বিস্ফোরক মজুত রাখার কারণে শর্ট সার্কিট সৃষ্টি হওয়াই বিস্ফোরণের কারণ।
পুলিশ প্রধান সাংবাদিকদের বলেন, এটি বাইরের কোনো হামলা বা আত্মঘাতী বোমা হামলার কারণে ঘটেছে এমন কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের সিনিয়র অফিসার খালিদ সোহেল বলেন, শক ওয়েভের কারণে ভবনটি সম্পূর্ণ ধসে পড়ে।
খাইবারপখতুনখোয়া পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল আখতার হায়াত গান্দাপুর এএফপিকে বলেন, ‘পরপর দু থেকে তিনটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।’ তিনি আরো বলেন, নিহতদের বেশিরভাগই পুলিশ সদস্য।
ঘটনাস্থলের ফুটেজে একটি মৃতদেহ ধ্বংসস্তুপ থেকে টেনে তুলতে দেখা গেছে।
খাইবার পখতুনখোয়ার উদ্ধারকারী সংস্থার মুখপাত্র বিলাল ফাইজি বলেছেন, এই বিস্ফোরণে ১২ জন নিহত এবং ৫০ জন আহত হয়েছে।
এক টুইটারে, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ প্রাথমিকভাবে সোমবারের বিস্ফোরণকে ‘আত্মঘাতী হামলা’ বলে বর্ণনা করেছেন। গভীর রাতে তিনি একটি আপডেট টুইট করে বলেন, ‘বিস্ফোরণের প্রকৃতি তদন্ত করা হচ্ছে।’
গত জানুয়ারিতে, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় নগরী পেশোয়ারের একটি পুলিশ কম্পাউন্ডের ভিতরে মসজিদে এক আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী তার জ্যাকেট বিস্ফোরণ ঘটালে ভবনটি ধসে পড়ে এবং প্রার্থণাকারিদের উপর ধ্বংসস্তুপ পড়ে ৮০ জনেরও বেশি কর্মকর্তা নিহত হয়।
পরের মাসে, দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর নগরী করাচিতে টিটিপি’র আত্মঘাতী স্কোয়াড একটি পুলিশ কম্পাউন্ডে হামলা চালালে পাঁচজন নিহত হয় এবং এর জেরে সেখানে ঘন্টাব্যাপী গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।