বাসস
  ২৯ এপ্রিল ২০২৩, ১৫:১২
আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৩, ১৭:১১

নতুন যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও সুদানে লড়াই তৃতীয় সপ্তাহে প্রবেশ

খার্তুম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৩ (বাসস ডেস্ক) : নতুন যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও সুদানের সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে  লড়াই  তৃতীয় সপ্তাহে প্রবেশ করেছে এবং শনিবারও খার্তুমে  যুদ্ধবিমানের বোমা হামলা ও বিমান বিধ্বংসী গোলা নিক্ষেপ চলছিল ।
সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের অনুগত বাহিনী এবং আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর নেতৃত্বে থাকা মোহাম্মদ হামদান দাগলোর অনুগত বাহিনীর মধ্যে ১৫ এপ্রিল  থেকে লড়াই শুরু হওয়ার পর  সুদান বিশৃঙ্খলা ও অনাচারে নিমজ্জিত হয়েছে। খবর এএফপি’র।
বুরহান ও দাগলো সংঘর্ষের শুরু থেকে একাধিকবার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছেন, কিন্তু কেউই কার্যকরভাবে তা বজায় রাখেননি, প্রতিটি পক্ষ যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য পরস্পর পরস্পরকে দোষারোপ করেছে।
আরও দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতিসংঘের নেতৃত্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,  সৌদি আরব, আফ্রিকান ইউনিয়নের মধ্যস্থতার পরে বৃহস্পতিবার সর্বশেষ তিন দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
দক্ষিণ খার্তুমের একজন প্রত্যক্ষদর্শী এএফপিকে বলেছেন, ‘আমাদের আশেপাশে যুদ্ধবিমান এবং বিমান বিধ্বংসী অস্ত্রের বিস্ফোরণের শব্দে আমরা আবার জেগে উঠি।’
অপর একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন  সকাল থেকে বিশেষ করে রাজধানীর প্রতিবেশী নগরী ওমদুরমানে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকের সদর দফতরের চারপাশে লড়াই চলছে।
অর্ধকোটি লোকের বাসস্থান খার্তুম জুড়ে বাসিন্দাদের খাদ্য ও পানির সরবরাহ বিপজ্জনকভাবে নিম্ন স্তরে নেমে যাওয়া এবং বিদুত ঘাটতি সত্ত্বেও বেশিরভাগ লোকই  বাড়িতে রয়েছেন।
সুদান ভুখন্ডে যুদ্ধ শুরু হওয়ার সাথে সাথে, দুই প্রতিদ্বন্দ্বী জেনারেল মিডিয়াতে পরস্পরের প্রতি মন্তব্য ছোড়েন। বুরহান ইউএস-ভিত্তিক টিভি চ্যানেল আলহুরার সাথে এক সাক্ষাৎকারে আরএসএফকে সুদান ধ্বংসকারী মিলিশিয়া বলে উল্লেখ করেন।
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দাগলো সেনাপ্রধান সম্পর্কে ‘ অবিশ্বস্ত ও ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে মন্তব্য করেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৫১২ জন নিহত হয়েছে এবং ৪,১৯৩ জন আহত হয়েছে। তবে  মৃতের সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কয়েক হাজার সুদানী মিশর, ইথিওপিয়া, সাদ ও দক্ষিণ সুদানসহ প্রতিবেশী  দেশগুলিতে পালিয়ে গেছে। বিদেশী  নাগরিকদের ব্যাপকভাবে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘ শুক্রবার বলেছে, তার  শেষ আন্তর্জাতিক কর্মীকে দারফুর  থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বলেছে, ইতোমধ্যে দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধে দেশটির জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ দেড়কোটি মানুষের সহায়তার প্রয়োজন। সহিংসতায় দেশটির আরও লাখ লাখ মানুষ ক্ষুধায় নিমজ্জিত হতে পারে।