শিরোনাম
ওয়াশিংটন, ২৪ মে, ২০২৩ (বাসস ডেস্ক): যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মঙ্গলবার পিতামাতা, প্রযুক্তি কোম্পানি এবং নিয়ন্ত্রকদের জন্য কঠোর সতর্কতা জারি করে বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার শিশুদের মারাত্মকভাবে ক্ষতি করতে পারে এমন প্রমাণ বাড়ছে।
একটি দীর্ঘ পরামর্শে, ইউএস সার্জন জেনারেল ভিভেক মার্থি বলেছেন, ‘এমন যথেষ্ট সূচক রয়েছে যাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার জন্য ক্ষতির ঝুঁকিও থাকতে পারে।’
স্বাস্থ্য ও মানব পরিষেবা বিভাগের হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তরুণদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার প্রায় সর্বজনীন, ৯৫ শতাংশ কিশোর-কিশোরীরা সামাজিক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে এবং এক তৃতীয়াংশেরও বেশি ‘প্রায় প্রতিনিয়ত’ সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় থাকে।
ভিভেক মার্থির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামাজিক মিডিয়া শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের সংযোগ করার জন্য একটি সম্প্রদায় খুঁজে পেতে সহায়তা করতে পারে। তবে এতে ‘চরম, অনুপযুক্ত এবং ক্ষতিকারক বিষয়বস্তু’ রয়েছে যা নিজের জন্য ক্ষতি এবং আত্মহত্যার প্রবণতাকে ‘স্বাভাবিক’ হিসাবে গণ্য করতে পারে।
এটি শারীরিক চেহারা অসন্তোষ,স্বাস্থ্যের ব্যাপারে অযতœ ও মানসিক অতৃপ্তি, খাওয়ার ব্যাধি এবং বিষন্নতাকে স্থায়ী করতে পারে এবং শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় যাওয়ার সময় তাদের অনলাইন বুলিং-এর ক্ষতিকর ও নির্যাতনমূলক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে বলে রিপোর্টে সতর্ক করা হয়েছে।
মার্থি নীতিনির্ধারকদের সোশ্যাল মিডিয়ার আশপাশে নিরাপত্তার মান জোরদার করার আহ্বান জানান এবং প্রযুক্তি সংস্থাগুলোকে শিশুদের উপর তাদের পণ্যগুলোর প্রভাবের দায়িত্বের সাথে মূল্যায়ন করতে এবং গবেষকদের সাথে ডেটা ভাগ করার আহ্বান জানান।
তিনি ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগের প্রচারের জন্য এবং স্বাস্থ্যকর, দায়িত্বশীল অনলাইন আচরণের মডেলিং করে শিশুদের শিক্ষিত করার জন্য বাড়িতে প্রযুক্তি-মুক্ত অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করার জন্য অভিভাবকদের পরামর্শ দেন।
প্রতিবেদনটি এমন একটি সময় আসে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে কর্তৃপক্ষ সামাজিক মিডিয়া ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার উপায়গুলো অনুসন্ধান করছে এবং বিশেষ করে তরুণদের উপর এর খারাপ প্রভাবগুলো রোধ করার উপায় খুঁজছে।
এই মাসের শুরুতে, মার্কিন অঙ্গরাজ্য মন্টানা তার ভূখন্ডে টিকটক ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। চীনের মালিকানাধীন ভিডিও শেয়ারিং জায়ান্ট এই সিদ্ধান্তকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করছে। মার্চ মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইউটাহ প্রথম অঙ্গরাজ্য যেখানে অপ্রাপ্তবয়স্কদের দ্বারা ব্যবহৃত অ্যাকাউন্টগুলোর জন্য পিতামাতার সম্মতি পেতে সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলোর প্রয়োজন হয়।
মার্থি বলেন, ‘আমরা একটি জাতীয় যুব মানসিক স্বাস্থ্য সঙ্কটের মাঝখানে আছি, এবং আমি উদ্বিগ্ন যে সোশ্যাল মিডিয়া সেই সংকটের একটি গুরুত্বপূর্ণ চালক, যা আমাদের জরুরিভাবে সমাধান করতে হবে।’