শিরোনাম
আঙ্কারা, ৩ জুন, ২০২৩ (বাসস ডেস্ক) : দুই দশকের শাসন আরও পাঁচ বছরের জন্য বাড়ানোর জন্য ঐতিহাসিক রানঅফ নির্বাচনে জয়লাভ করার পর, শনিবার রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে শপথ গ্রহণ করতে চলেছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। তুরস্কের অর্থনৈতিক দুর্দশার আরো অবনতি সত্ত্বেও তিনি তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। পার্লামেন্ট উদ্বোধনের পর, রাজধানী আঙ্কারায় তার প্রাসাদে কয়েক ডজন বিশ্ব নেতার উপস্থিতিতে এক জমকালো অনুষ্ঠান হবে। খবর এএফপি’র।
তাঁর বিগত শাসনামলে ফেব্রুয়ারীতে এক বিধ্বংসী ভূমিকম্পে ৫০ সহ¯্রাধিক মানুষের মৃত্যুতে এক চরম অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দেয়ায় তীব্র সমালোচনা সত্ত্বেও তুরস্কের রূপান্তররকামী ও বিভাজনকারী নেতা একটি শক্তিশালী বিরোধী জোটের বিরুদ্ধে ২৮ মে পুন:নির্বাচনে জিতেছেন। সরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, এরদোগান ৫২.১৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন এবং তার ধর্মনিরপেক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিকদারোগ পেয়েছেন ৪৭.৮২ শতাংশ ভোট।
তুরস্কে এযাবত কালের দীর্ঘতম মেয়াদে দায়িত্ব পালনকারী এই নেতা, তার তৃতীয় মেয়াদে এসে শ্লথ অর্থনীতি এবং পশ্চিমাদের সাথে বৈদেশিক নীতিসংশ্লিষ্ট উত্তেজনা নিয়ে আশু এবং বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন । বিসিএ রিসার্চের প্রধান ভূ-রাজনৈতিক কৌশলবিদ ম্যাট গার্টকেন বলেছেন, ‘ভূ-রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে, এই নির্বাচন একটি স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি অবলম্বনে তুরস্কের সাম্প্রতিক দৃঢ়তায় আরো শক্তি যোগাবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নীতির লক্ষ্য হল- প্রাচ্য ও স্বৈরশাসিত রাষ্ট্রগুলো থেকে সর্বাধিক অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সুবিধা আদায়ের পাশাপাশি, এখনও পশ্চিমা গণতন্ত্রের সাথে সম্পর্কের স্থায়ী ফাটল রোধ করা।’ এরদোগানের নতুন ম্যান্ডেটে পশ্চিমের সাথে আগের মতোই উত্তেজনা আবারও বাড়ারই সম্ভাবনা।
প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য অংশতঃ তার সুদের হার কমানোর ব্যতিক্রমী নীতির কারণেই, চলমান মুদ্রাস্ফীতির হার ৪৩.৭০ শতাংশে পৌঁছেছে। তাই এরদোগানের প্রথম অগ্রাধিকার হবে- দেশের অর্থনৈতিক সমস্যা মোকাবিলা করা। উল্লেখ্য, ১৪ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর, শুক্রবারের প্রথম অধিবেশনে তুরস্কের নতুন পার্লামেন্ট সদস্যরা শপথ গ্রহণ শুরু করেন, এতে এরদোগানও উপস্থিত ছিলেন। ৬০০ আসনের পার্লামেন্টে তার জোট সংখ্যাগরিষ্ঠ।