শিরোনাম
ওয়াশিংটন, ২০ জুলাই, ২০২৩ (বাসস ডেস্ক): রাশিয়া কৃষ্ণ সাগরে বেসামরিক জাহাজে হামলা করে ইউক্রেনীয় বাহিনীর উপর দোষ চাপাতে পারে। বুধবার হোয়াইট হাউসের এক সিনিয়র কর্মকর্তা এ কথা বলেছেন।
ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র অ্যাডাম হজ এএফপি’কে বলেছেন, ‘রাশিয়ার সামরিক বাহিনী বেসামরিক জাহাজের বিরুদ্ধে হামলার জন্য ইউক্রেনের শস্য স্থাপনার লক্ষ্যবস্তু সম্প্রসারণ করতে পারে।’
তিনি বলেন, অভিযোগটি সদ্য প্রকাশ করা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে করা হয়েছে।
রাশিয়া বুধবার বলেছে, ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানির অনুমতি দেয় এমন একটি যুগান্তকারী চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্তের পর কৃষ্ণ সাগরের সম্ভাব্য সামরিক লক্ষ্যবস্তু দিয়ে ইউক্রেনে যাওয়ার কার্গো জাহাজগুলো বিবেচনা করবে।
ওডেসার দক্ষিণ ইউক্রেনীয় বন্দরের চারপাশে দ্বিতীয় রাতের হামলার পর প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়াকে ইচ্ছাকৃতভাবে শস্য রপ্তানি অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করার এবং খাদ্য সংকটে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে আরো ঝুঁকির মধ্যে ফেলার জন্য অভিযুক্ত করেছেন।
কিয়েভ কৃষ্ণ সাগর অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোকে পণ্যবাহী জাহাজগুলোর নিরাপদ উত্তরণ নিশ্চিত করতে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে।
উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি করার জন্য ব্যবহৃত সমুদ্রপথটি কার্যকরভাবে বন্ধ করার ফলে পুনরায় ইউক্রেনের ইউরোপীয় প্রতিবেশীদের মধ্যে সস্তায় শস্যে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এটি ওডেসার বন্দর নগরীর বিরুদ্ধে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা সেইসাথে ক্রেমলিনের একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি থেকে বেরিযে যাওয়ার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে কৃষ্ণ সাগরে শস্যবাহী জাহাজে রাশিয়ান হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই চুক্তিতে কৃষ্ণ সাগর দিয়ে বিশ্ববাজারে নিরাপদে ইউক্রেনের শস্য রফতানির অনুমোদন দেয়া হয়েছিল।
মস্কো বলেছে তাদের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ওডেসায় সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করেছে কিন্তু অ্যাডাম হজ ইউক্রেনের অভিযোগকে সমর্থন করেছেন যে, এই হামলায় ফলে ‘কৃষি অবকাঠামো এবং রপ্তানির জন্য প্রস্তুত ৬০ হাজার টন শস্য ধ্বংস হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তার মতে, এই ধরনের হামলা এখন বেসামরিক জাহাজে প্রসারিত হতে পারে। রাশিয়া এই ধরনের আক্রমণকে ইউক্রেন বাহিনীর হামলা হিসেবে দেখানোর অভিযান চালাচ্ছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় বলেছে, কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেনীয় বন্দরগুলোতে যাত্রা করা সমস্ত জাহাজকে সামরিক পণ্যসম্ভারের সম্ভাব্য বাহক হিসাবে বিবেচনা করা হবে এবং এর পতাকা রাষ্ট্রগুলোকে ‘কিয়েভের পক্ষে ইউক্রেনীয় সংঘাতে জড়িত বলে বিবেচিত করা হবে’।
গত বছর ইউক্রেনে মস্কোর অভিযানের শুরুতে জাতিসংঘ এবং তুরস্কের মধ্যস্থতায় চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত কৃষ্ণ সাগরের বন্দরগুলো যুদ্ধ জাহাজের মাধ্যমে অবরুদ্ধ ছিল।