শিরোনাম
ব্যাংকক, ২৬ জুলাই, ২০২৩ (বাসস ডেস্ক) : থাইল্যান্ডের ধনকুবের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা আগামী ১০ আগস্ট দেশে ফিরবেন। স্বেচ্ছায় দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে নির্বাসিত থাকার পর তিনি দেশে ফিরে আসছেন। বুধবার তার কন্যা এ কথা জানিয়েছেন। খবর এএফপি’র।
৭৪ বছর বয়সী এ টাইকুন অপরাধমূলক একাধিক অভিযোগের মুখে থাকলেও তিনি অনেক দিন ধরে দেশের ফিরে আসার ব্যাপারে তার ইচ্ছার কথা বলে আসছেন। তিনি বারবার বলছেন যে তার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ রাজনৈতিভাবে উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তিনি দুইবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তবে ২০০৬ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন।
থাকসিন হচ্ছেন থাইল্যান্ডের সামরিকপন্থী ও রাজতন্ত্রবাদী প্রতিষ্ঠানের জন্য মাথাব্যাথার কারণ এবং তার প্রত্যাবর্তন ইতোমধ্যে দেশটির উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠা রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরো উদ্দীপ্ত করতে পারে।
গত মে মাসের নির্বাচনে জয়লাভের পর সামরিক প্রাধান্য বিশিষ্ট সিনেট মুভ ফরওয়ার্ড দলের (এমএফপি) প্রধানকে প্রধানমন্ত্রী হতে বাধা দেওয়ায় দেশটিতে রাজনৈতিক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
থাকসিনের জন্মদিন বুধবার তার কন্যা পেতংটার্ন সিনাওয়াত্রা তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘আমি যা লিখতে যাচ্ছি তা আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। আমার বাবা আগামী ১০ আগস্ট ডন মিউং বিমানবন্দরে ফিরে আসছেন।’
পেতংটার্ন পিউ থাই দলের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে একজন প্রার্থী ছিলেন। গত নির্বাচনে দলটি দ্বিতীয় হয়। থাইল্যান্ডের সরকার গঠনে এমএফপি বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় এখন পিউ থাই দলটি সরকার গঠনের চেষ্টা করছে।
তিনি লিখেছেন, বাবা দেশে ফিরে আসছে এমনটা ভেবে ‘আমার হৃদয় এবং আমাদের পরিবারের সকলে অভিভূত, খুশি এবং উদ্বিগ্ন। তবে আমার বাবার সিদ্ধান্তকে সম্মান করি।’
মে মাসের নির্বাচনের কয়েক দিন আগে থাকসিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেছিলেন যে, তিনি ‘তার জন্মদিনের আগে’ থাইল্যান্ডে ফিরবেন কারণ তিনি ক্রমেই বৃদ্ধ হচ্ছেন। এমন অবস্থায় তিনি তার নাতি-নাতনিদের সাথে সময় কাটাতে চান।
২০০৮ সালে দুর্নীতির অভিযোগে থাকসিনের অনুপস্থিতিতেই তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তারপর তিনি আরো অনেক মামলার মুখে পড়েন। তবে মে মাসে থাকসিন বলেন, তিনি আদালতের মুখোমুখী হতে প্রস্তুত রয়েছেন।