শিরোনাম
বিরল, (দিনাজপুর) ২৮ জুলাই, ২০২৩ (বাসস) : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী রংপুর বিভাগ দিয়েছেন, তিনিই নতুন করে সাজাবেন। রংপুর বিভাগ আমরা পিছিয়ে নেই, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ শুক্রবার দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে পোনামাছ অবমুক্তকরণ শেষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ বছর পর আগামী ২ আগস্ট রংপুরে আসছেন। তিনি আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ। তাকে আমরা অভিনন্দন জানাবো, কৃতজ্ঞতা জানাবো। তিনি যাতে আরো বেশি নেতৃত্ব দিতে পারেন, সুস্থ থাকেন, সেজন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করব।
তিনি বলেন, ১২ বছরে রংপুর বদলে গেছে। ১২ বছরে রংপুরে যোগাযোগ নেটওয়ার্ক অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। ১২ বছরের রংপুরে মংগা দূর হয়ে গেছে। ১২ বছরে রংপুরের আটটি জেলায় আটটি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন হয়েছে, মেডিকেল কলেজ হয়েছে। সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উত্তীর্ণ করার কার্যক্রম চলছে। লালমনিরহাটে এরোনটিকেল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও গবেষকরা প্রতিনিয়ত কাজ করে চলছেন। বিভিন্ন কারণে দেশীয় মাছ হারিয়ে যাচ্ছে। বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় মাছকে সংরক্ষণ করার জন্য গবেষণা করছেন। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে অধিক মাছ চাষের জন্য গবেষণার ক্ষেত্রে তারা সফল হয়েছে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ইলিশ মাছ চাষে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে দেশ। মিঠা পানির মাছ চাষে তৃতীয় স্থানে এবং মাছ উৎপাদনের চতুর্থ স্থানে রয়েছে। বাংলাদেশে মৎস্য চাষ আমিষের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি যে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে এতে করে মাছ চাষে আরো বেশি লোক উদ্বুদ্ধ হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. আফছানা কাওছার, বিরল উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী বিরলের খাদ্য গুদাম পুকুরে পোনামাছ অবমুক্ত করেন। অনুষ্ঠানে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের মাঝে সাইকেল, শিক্ষা সহায়তা উপকরণ ও বৃত্তি, ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইসিস, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া রোগীদের এককালীন আর্থিক অনুদানের চেক, অসহায়, দরিদ্র ও কর্মহীনদের আর্থিক অনুদান, প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ, বিরল উপজেলার বিভিন্ন ধর্মীয় মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টি আর টাকার চেক বিতরণ করা হয়।