বাসস
  ০১ আগস্ট ২০২৩, ১১:৫৭

পিরোজপুরে ১ বছরে ডিজিটাল সেবা পেয়েছে লক্ষাধিক মানুষ

পিরোজপুর, ১ আগস্ট, ২০২৩ (বাসস): জেলায় সদ্য সমাপ্ত অর্থ বছরে ১ লাখ ২৪ হাজার ৮০ জন মানুষ সরাসরি বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল সেবা পেয়ে উপকৃত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের ফ্র্ন্ট ডেক্স ও ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার সমূহের মাধ্যমে এ সেবা প্রদান করা হয়।
২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত পিরোজপুর জেলার ৫২টি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন কমপ্লেক্সে অবস্থিত ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে কর্মরত ১শত ৪ জন উদ্যোক্তা এ সেবা প্রদান করে। এ সময় এ উদ্যোক্তরা সেবা প্রদান করে ৩৮ লাখ ৪৯ হাজার ১৬৮ টাকা উপার্জন করে নিজেরা স্বাবলম্বী হয়েছে এবং সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছে। সেবা গ্রহীতাদের মধ্যে পিরোজপুর সদরে ৫৯৩১ জন ,নাজিরপুরে ৭৯৬৬ জন, নেছারাবাদে ১১১৪ জন, কাউখালীতে ১১৮২০ জন, ভান্ডারিয়ায় ২২৭৯১ জন, ইন্দুরকানীতে ২৩৪৪৬ জন এবং মঠবাড়িয়ায় ৮৮০৬ জন রয়েছে। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার সমূহের বিদ্যমান সেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে অনলাইনে নাগরিক সনদ, জন্মনিবন্ধন, মৃত্যু নিবন্ধন, সরকারি ফরম ডাউনলোড, জমির পর্চার আবেদন, সব ধরনের নাগরিক আবেদন, জীবন বীমা, টেলি মেডিসিন, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ, পাবলিক পরীক্ষার ফল জানা, অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি, পাসপোর্টের আবেদন, ভিসা ভেরিফিকেশন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে স্বাস্থ্য পরামর্শ, পানি পরীক্ষা, আর্সেনিক পরীক্ষাসহ বিভিন্ন সরকারি ডকুমেন্ট প্রণয়ন, সরকারি বিভিন্ন প্রচারণা কাজে লজিষ্টিক সার্পোট, হজ¦ যাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, ছবি তোলা, ই-মেইল, ইন্টারন্টে ব্রাউজিং, চাকুরীর বিজ্ঞপ্তি দেখা ও অনলাইনে চাকুরির আবেদনসহ ১০৫ ধরনের সেবা দেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ফ্রন্ট ডেক্স থেকে একই সময় ৪২ হাজার ২শত ৬ জনকে ডিজিটাল সেবা দেওয়া হয়েছে। এসব সেবার মধ্যে রয়েছে নকলের আবেদন গ্রহণ ও বিতরণ, নাগরিক আবেদন গ্রহণ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ড রুম থেকে এসএ, বিএস, সিএস, আরএস পর্চা, দাগের সূচি, নকশার আবেদন গ্রহণ ও নকল সরবরাহ, সংশোধনী নকলের আবেদন গ্রহণসহ ১২ ধরনের সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান ,জেলার সকল ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ই-সেবা কেন্দ্র থেকে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে সেবা গ্রহীতাদের বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এর ফলে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে ই-সেবা দ্রুত পৌছে যাচ্ছে এবং পল্লী এলাকার মানুষসহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ বিভিন্নভাবে উপকৃত হচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আমরা দ্রুতই স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমানের চূড়ান্ত  লক্ষ্যে পৌঁছে যাব।