বাসস
  ০২ আগস্ট ২০২৩, ২১:০৪
আপডেট : ০২ আগস্ট ২০২৩, ২১:২৩

পি কে হালদারসহ ১৪ জনের ২২ বছরের কারাদন্ডের প্রত্যাশা দুদকের

ঢাকা, ২ আগস্ট, ২০২৩ (বাসস): অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচার মামলায় পি কে হালদারসহ ১৪ জনের ২২ বছরের কারাদন্ডের প্রত্যাশা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে দুদক যুক্তিউপস্থাপন শেষ করে। যুক্তি উপস্থাপন শেষে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহম্মেদ সালাম তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি ২২ বছরের কারাদন্ডের প্রত্যাশা করেন। এরপর আসামি পক্ষের যুক্তিউপস্থাপনের জন্য আগামী ৯ আগস্ট দিন ধার্য করেন অদালত।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহম্মেদ সালাম বলেন, পি কে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে ১০৬ জনের মধ্যে ৯৯ জনের  সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। আজ যুক্তিউপস্থাপন শেষ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইনের ২৭(১) ধারা ও মানিলন্ডারিং আইনে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে দুদক। তাদের ২৭(১) ধারায় ১০ বছর ও মানিলন্ডারিং আইনে ১২ বছরের কারাদন্ডের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
কারাগারে থাকা চার আসামি অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধাকে আজ আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়া গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ ১০ আসামি পলাতক রয়েছেন।
পলাতক আসামিরা হলেন, পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজীব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।
২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী। মামলার এজাহারে বলা হয়, পি কে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। এছাড়া ওই অর্থ আড়াল করতে বিদেশে পাচার করে মানি লন্ডারিং আইনেও অপরাধ করেন তিনি।
মামলাটি তদন্ত শেষে ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন। ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।