বাসস
  ০৪ আগস্ট ২০২৩, ১৭:৩৫

শহীদ জায়া পান্না কায়সারের মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রীর শোক

ঢাকা, ৪ আগস্ট, ২০২৩ (বাসস): লেখক, গবেষক, সাবেক সংসদ সদস্য, শহীদ জায়া অধ্যাপক পান্না কায়সারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শহীদ জায়া অধ্যাপক পান্না কায়সারের ইন্তেকালের সংবাদে শোকাহত মন্ত্রী প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সম্প্রচারমন্ত্রী তার শোকবার্তায় বলেন, ‘পান্না কায়সার ছিলেন প্রজ্ঞা আর প্রাণশক্তির অনন্য উদাহরণ। শহীদজায়া পান্না কায়সারের মৃত্যুতে দেশ একজন মুক্তিযুদ্ধ গবেষক, লেখক ও নিবেদিতপ্রাণ শিশু সংগঠককে হারালো। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আগামী প্রজন্ম গড়ে তোলার কারিগর পান্না কায়সার তার কর্ম ও গবেষণার মধ্য দিয়ে আমাদের হৃদয়ে অমর হয়ে থাকবেন।’
১৯৫০ সালের ২৫ মে কুমিল্লায় জন্মগ্রহণকারী পান্না কায়সারের পারিবারিক নাম সাইফুন্নাহার চৌধুরী। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে তরুণ বুদ্ধিজীবী, লেখক শহীদুল্লা কায়সারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। কিন্তু আড়াই বছরের মাথায় মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আলবদর বাহিনী শহীদুল্লা কায়সারকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। তার আর ফেরা হয়নি। 
এরপর থেকে পান্না কায়সার একাই মানুষ করেছেন তার দুই সন্তান শমী কায়সার এবং অমিতাভ কায়সারকে। শিক্ষকতা করেছেন বেগম বদরুন্নেসা কলেজে, সেই সঙ্গে করে গেছেন লেখালেখি। তার প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে ‘মুক্তিযুদ্ধ: আগে ও পরে’, ‘মুক্তি’, ‘নীলিমায় নীল’, ‘হৃদয়ে বাংলাদেশ’, ‘মানুষ, ‘রাসেলের যুদ্ধযাত্রা’, ‘না পান্না না চুনি’। 
পান্না কায়সার ১৯৯৬-২০০১ সালে জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গবেষণায় অবদানের জন্য ২০২১ সালে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন। শিশু-কিশোর সংগঠন ‘খেলাঘরে’র সঙ্গে আজীবন সক্রিয় পান্না কায়সার ১৯৭৩ সাল থেকে এর প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ১৯৯০ সাল থেকে চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব পালন করে এসেছেন।