বাসস
  ০৫ আগস্ট ২০২৩, ১৭:৫৮

গণসংগীতের মধ্য দিয়ে সহজেই মানুষের কাছে পৌঁছানো যায় : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ৫ আগস্ট, ২০২৩ (বাসস) : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী  কে এম খালিদ বলেছেন, গণসংগীত সাংস্কৃতিক সংগ্রামের অনন্য হাতিয়ার। এই সংগীতের মধ্য দিয়ে খুব সহজেই মানুষের কাছে  পৌছানো যায়। 
তিনি বলেন, সেই ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গণসংগীত আমাদের উদ্দীপ্ত করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশকে টিকিয়ে রাখতে সংগীতের এই ধারা দেশের প্রতিটি প্রান্তে ছড়িয়ে দিতে হবে ।
আজ  রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদ’-এর ১ম কেন্দ্রীয় সম্মেলন ২০২৩ -এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। 
তিনি  বলেন, গণসংগীত বলতে আমরা ফকির আলমগীরকেই বুঝি। তিনি বাংলা গণসংগীতে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন এবং এটিকে জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। 
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী  বলেন, প্রতি বছর পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে ফকির আলমগীর প্রবর্তিত ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠী বিভিন্ন পরিবেশনার মাধ্যমে দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশে অবদান রেখে চলেছে। 
প্রথম কেন্দ্রীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর।
তিনি বলেন, গণসংগীতের ইতিহাস সুদীর্ঘ। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন  প্রগতিশীল আন্দোলনে গণসংগীতের অসামান্য অবদান রয়েছে। কিন্তু গণসংগীতের সমৃদ্ধ ইতিহাস সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ হয়নি। 
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ড পরবর্তীকালে গণসংগীতের প্রতিবাদের ভাষা আরও সক্রিয় হয়েছে। সাম্প্রদায়িকতা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে গণসংগীত শিল্পীরা বরাবরই সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছেন।
বাংলাদেশ গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাজী মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা তিমির নন্দী ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মো. আহকাম উল্লাহ। স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলাদেশে গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট।