বাসস
  ০৬ আগস্ট ২০২৩, ২০:৪৯

সুন্দরবনসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত : মোংলা বন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত

বাগেরহাট, ৬ আগস্ট, ২০২৩ (বাসস) : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ, পূর্ণিমার প্রভাবে টানা বৃষ্টিপাত এবং জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মোংলা বন্দরে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে।  
এছাড়াও পাঁচ দিন ধরে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট উচু জোয়ারে ডুবছে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা।  
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সুন্দরবনের পাশাপাশি জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ৭৫০টি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে।  
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, জোয়ারের কারণে বনের অনেক এলাকা পানিতে ডুবে গেলেও  সুন্দরবনের জীবজন্তুর তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। প্রকৃতিগতভাবেই সুন্দরবনের বড় এলাকা জোয়ারে কিছু প্লাবিত হয়। এখানকার বন্যপ্রাণিগুলোর এই প্রকৃতির সাথে অভ্যস্ত। অতি উঁচু জোয়ারে বনের মধ্যে পানি বাড়ায় বন্যপ্রাণিদের কিছু সমস্যা হলেও বড় ধরনের ক্ষতি হবেনা বলে জানান তিনি। 
মোংলা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা হারুণ-অর-রশীদ বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় ৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী দুই-তিনদিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাগেরহাট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, সাগরের নিম্নচাপ-লঘুচাপের প্রভাবে বৃষ্টিপাতে  পশুর, বলেশ্বর, পানগুছি, ভৈরবসহ জেলার প্রায় সকল নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়েছে। 
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হাফিজ আল আসাদ বলেন, জেলায় ৭৫০টি পরিবার পানিবন্ধি রয়েছে। আমরা তালিকা করে দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানিবন্দিদের খোজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।
বনের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন,গত চার দিন ধরে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে করমজল। এই এলাকা বনের অন্য অনেক এলাকা থেকে অপেক্ষাকৃত উঁচু তারপরও করমজলের রাস্তার ওপরে দেড় ফুট পানি উঠেছে। তবে করমজলে কুমির, কচ্ছপ, হরিণ ও বানরসহ অন্যান্য প্রাণী নিরাপদে রয়েছে।