বাসস
  ০৮ আগস্ট ২০২৩, ১৭:২৮

বঙ্গমাতা বাঙ্গালি জাতির প্রেরণার উৎস : হুইপ ইকবালুর রহিম

ঢাকা, ৮ আগস্ট, ২০২৩ (বাসস) : জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লড়াই-সংগ্রাম-আন্দোলনের নেপথ্যে প্রেরণাদাতা ছিলেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব।
আজ মঙ্গলবার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দিনাজপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ ও  দোয়া অনুষ্ঠান এবং অসহায় ও অস্বচ্ছল মহিলাদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন। জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। এ লড়াই-সংগ্রাম-আন্দোলনের নেপথ্যে প্রেরণাদাতা ছিলেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব। তিনি বঙ্গবন্ধুর গোটা রাজনৈতিক জীবন ছায়ার মতো অনুসরণ করে তার প্রতিটি কাজে প্রেরণার উৎস হয়ে ছিলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গমাতা প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে পেছনে থেকে বঙ্গবন্ধুকে উৎসাহ ও সাহস যুগিয়েছেন। তিনি যদি বঙ্গবন্ধুর পেছনে না থাকতেন তাহলে বাংলাদেশের ইতিহাস ভিন্ন হতে পারতো।
দেশের নারী সমাজকে বঙ্গমাতার আদর্শকে অনুসরন করে দেশের কল্যাণে কাজ করে যেতে হবে উল্লেখ করে ইকবালুর রহিম বলেন, বঙ্গমাতা বাঙ্গালি জাতির প্রেরণার উৎস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে বঙ্গমাতার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
দিনাজপুর জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা, জাতীয় মহিলা সংস্থা দিনাজপুর-এর চেয়ারম্যান সুলতানা বুলবুল, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সৈয়দ মোকাদ্দেস হোসেন বাবলু, দিনাজপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. ওয়াহেদুল আলম আর্টিস্ট, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম আলম সরকার বাবু, সাধারণ সম্পাদক এনাম উল্ল্যাহ জ্যামী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।  
আলোচনা শেষে ১শ জন অসহায়, অসচ্ছল মহিলার মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় দিনাজপুর জেলা প্রশাসন চত্বরে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন করেন হুইপ ইকবালুর রহিম, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদসহ মুক্তিযোদ্ধাগণ, আওয়ামী লীগ, দিনাজপুর প্রেসক্লাব, দিনাজপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও স্কুল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ।