শিরোনাম
ঢাকা, ১০ আগস্ট, ২০২৩ (বাসস) : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সারাদেশে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এ বছর বিগত সময়ের তুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঢাকা ও দেশের প্রধান প্রধান শহরে ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটেছে। এতে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ এ পর্যন্ত মারা গেছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তন ও উষ্ণতা বৃদ্ধি এবং থেমে থেমে হওয়া বৃষ্টি এডিস মশার প্রজনন বাড়াতে সাহায্য করেছে, যা এডিস মশার প্রজননে সহায়তা করছে। এতে বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে ।
তাজুল ইসলাম আজ সারাদেশে ডেঙ্গু প্রতিরোধে নেওয়া মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম পর্যালোচনার লক্ষ্যে আয়োজিত বিশেষ ভার্চুয়াল সভায় অংশ নেওয়ার আগে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, সারা বিশ্বে মশা প্রতিরোধে স্বীকৃত বিভিন্ন পদ্ধতি এবং নিয়ম বাংলাদেশে অনুসরণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে উঠে আসা পদ্ধতিগুলোই মশক নিধনে কার্যকর। সেদিক থেকেও আমরা পিছিয়ে নেই।
তিনি বলেন, তবে আমাদের নিজ নিজ বাড়ির আঙিনা, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর এবং নিজ নিজ এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় সচেতনতা এবং জনগণকে আরো সম্পৃক্ত করার সুযোগ রয়েছে।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তাজুল ইসলাম জানান, সারা দেশে দ্রুত ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পৌরসভা মেয়র ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কারো অবহেলা থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মশক নিধনে কীটনাশক আমদানি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।