বাসস
  ১৩ আগস্ট ২০২৩, ১৮:০২
আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০২৩, ১৮:৫২

১৫ আগস্টের ঘাতক চক্র এখনও সক্রিয়

ঢাকা, ১৩ আগস্ট, ২০২৩ (বাসস) : ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘাতক চক্র এখনও সক্রিয়। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীরা নানা ষড়যন্ত্র করছে। এই অপশক্তিকে প্রতিরোধ করা দরকার। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কলাবাগানে বঙ্গবন্ধু পরিষদ কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 
‘ইতিহাসের রাখাল রাজা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা’র (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ। ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সরদার মাহামুদ হাসান রুবেলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।   
আবুল কালাম আজাদ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘাতক চক্র এখনও সক্রিয়। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীরা নানা ষড়যন্ত্র করছে। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছিলেন, ক্যাম্পাসে ৪-৫টা লাশ ফেলে দেন, আন্দোলন জমে যাবে। সেই কাজটিই তারা করার চেষ্টা করছে। বিএনপি-জামায়াত জানে, আন্দোলন করে নির্বাচন করে তারা ক্ষমতায় যেতে পারবে না। কারণ আগামী নির্বাচন নিয়ে সর্বশেষ জরিপগুলোতে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের জরিপেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি দেশের ৭০ শতাংশ মানুষের সমর্থন আছে বলে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির তো বাংলাদেশ রাষ্ট্রকেই স্বীকার করে না। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগের ২২ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল। সেই জায়গা থেকে এই অপশক্তিকে প্রতিরোধ করতে হবে। 
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, স্কুলজীবন থেকে বঙ্গবন্ধু ছিলেন প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর। আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন অনেক নেতা। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মতো কেউ আন্দোলন করেননি, কেউ ভাবেননি। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হবে, বাংলা সেই রাষ্ট্রের ভাষা হবে সেই লক্ষে তিনি আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন।
সভায় বক্তারা বলেন, ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মূল চেতনা ও গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছিল। বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল। নতুন প্রজন্মকে প্রকৃত ইতিহাস জানতে দেওয়া হয়নি।