শিরোনাম
ঢাকা, ১৪ আগস্ট, ২০২৩ (বাসস): কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ইকবাল মনোয়ারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেয়া বহিষ্কারাদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে আনা রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি মো. আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
ইকবাল মনোয়ারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারাদেশের বৈধতা প্রশ্নে কারণ দর্শাতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুলও জারি করেছে আদালত। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিট আবেদনের পক্ষের আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান।
এর আগে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ আটজনকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। তিনদিনের সময় দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, জনসংযোগ কর্মকর্তা এবং মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যানকে ডাকযোগে এবং ই-মেইলে এই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।
আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান জানান, যে অফিস আদেশের মাধ্যমে ইকবালকে বহিষ্কার করা হয়েছে, সে আদেশে কোনো আইন বা বিধির উল্লেখ করা হয়নি। এ ছাড়া তার সংবাদে উপাচার্যের বক্তব্য বিকৃতের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, উপাচার্য তার ব্যক্তিগত ক্ষোভের বহিঃ প্রকাশ ঘটাতেই ইকবালকে বহিষ্কার করেছেন। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৬ এর ৩২ নং ধারা অনুযায়ী শৃঙ্খলা বোর্ড থাকার কথা থাকলেও সে সংক্রান্ত কোনো বোর্ড এবং বিধি তৈরি হয়নি। এই অবস্থায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাাসনের এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বেআইনি ও এখতিয়ার বহির্ভূত বলে দাবী করে আইনি নোটিশটি দেয়া হয়।
আইনজীবী আরো জানান, কোনো সংবাদের বিষয়ে যদি উপাচার্য সংক্ষুব্ধ হয়ে থাকেন, তাহলে তার প্রেস কাউন্সিলে অভিযোগ করার অধিকার রয়েছে। তা না করে ইকবালকে বহিষ্কার করে উপাচার্য ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। আইনি নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে কোনরূপ পদক্ষেপ না নেয়ায় হাইকোর্টে রিটটি করা হয়।
গত ৩১ জুলাই উপাচার্যের বক্তব্য নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর ২ আগস্ট সাংবাদিক সমিতির অর্থ সম্পাদক ও যায়যায়দিনের প্রতিনিধি ইকবাল মনোয়ারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।