শিরোনাম
নোয়াখালী, ১৯ আগস্ট, ২০২৩ (বাসস) : জেলার বেগমগঞ্জে এক ভুয়া চিকিৎসককে দুই বছরের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এছাড়া সেবাগ্রহীতার জীবন বিপন্নকারী কাজের অপরাধে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
দন্ডপ্রাপ্ত ভুয়া চিকিৎসকের নাম অমর শীল (৩৫)। সে চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জের উলিপুর গ্রামের গৌরেন্দ্র শীলের ছেলে।
শনিবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াছিন আরাফাতের নেতৃত্বে উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার জেনারেল মা ও শিশু হাসপাতালে এ অভিযান চালানা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানাযায়,শনিবার দুপুরের দিকে চৌমুহনী পৌরসভার পাবলিক হল এলাকার জেনারেল মা ও শিশু হাসপাতালে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় হাসপাতালটির নিচ তলায় চেম্বারে সহকারী অধ্যাপক (বিএস এমএমইউ), এমবিবিএস, এফসিপিএস, ডিডিভি স্পেশাল ট্রেনিং ইন ডার্মাটোলজি (থাইল্যান্ড)এর ডিগ্রিধারী পরিচয়ে রোগী দেখছিলেন চিকিৎসক মো.এনামুল হক। এরপর তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে জানায়, তার প্রকৃত নাম অমর শীল (৩৫)। ২০০৩ সালে বলাখাল জেএন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ২০০৫ সালে হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে। এর বেশি তিনি পড়াশোনা করেন নাই। এ হাসপাতালে তিনি গত ৪ মাস যাবত চেম্বার করেন।
এর আগে তিনি জেলা শহর মাইজদীর ট্রাস্ট ওয়ান হাসপাতালে চেম্বার করতেন।
অভিযানে জেনারেল ও শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসক এনামুল হক নামধারী ভুয়া চিকিৎসকের সাথে চুক্তিপত্র বা তার সার্টিফিকেট/ডিগ্রীর সনদপত্র দেখাতে পারেনি। ভুয়া চিকিৎসক ডা.এনামুল হক প্রতিদিন ৩০-৩৫ জন রোগী দেখতেন। রোগী প্রতি ৭শত টাকা করে ফি নিতেন।
পরবর্তীতে তথ্য-প্রমাণ ও তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে অমর শীলকে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইনে দুই বছরের কারাদন্ড দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। একই সাথে সেবাগ্রহীতার জীবন বিপন্নকারী কাজের অপরাধে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় অভিযান পরিচালনার সহযোগিতা করেন বেগমগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার দাস ও বেগমগঞ্জ থানার একদল পুলিশ।