শিরোনাম
বরগুনা, ২২ আগস্ট, ২০২৩ (বাসস): জেলায় খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ প্রায় শূন্যের কোটায় এসেছে। উন্নত উৎসের পানি পানের হার বেড়েছে। হাইজিন অনুশীলন ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯৩ শতাংশে পৌঁছেছে।
নেদারল্যান্ড সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় ওয়াশ এসডিজি প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত সর্বশেষ জরিপে এ ফলাফল পাওয়া গেছে। স্থানীয় সরকার দপ্তর সমূহের পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের সাথে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় স্বাস্থ্য বিভাগ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো ‘ওয়াশ এসডিজি প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করছে।
ওয়াশ এসডিজি প্রকল্পের বরগুনার মনিটরিং ইভালুয়েশন অ্যান্ড লার্নিং অফিসার মো. শামসুর রহমান জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে প্রকল্পের শুরুতে পানি, স্যানিটেশন এবং হাইজিন সম্পর্কিত বিষয়ে জরিপ করা হয়েছিল এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে ২০২৩ সালে শেষ জরিপে একই বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করা হয়। এতে দেখা যায়, প্রতিটি সূচকে পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন পরিস্থিতির প্রভূত উন্নতি হয়েছে। বেইজলাইন ও এন্ডলাইন (২০১৮-২০২৩) জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, উন্নত উৎস থেকে পানি পানের হার বেড়েছে। এছাড়া গড়ে ৯.৫ মিনিট পানীয় জলের উৎসের দূরত্ব কমেছে। বেইজলাইন জরিপে ১৭ শতাংশ গৃহস্থালির পানীয় জলের উৎস থেকে পানি সংগ্রহ করতে ৩০ মিনিটের বেশি সময় লাগত। এছাড়া খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ প্রায় শূন্যের কোটায় এসেছে। হাইজিন অনুশীলন ৯ শতাংশ থেকে ৯৩ শতাংশে পৌঁছেছে। এ জরিপে মোট ১ হাজার ১১০টি খানা, ২৯টি স্কুল, ৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক অংশ নেয়।
বরগুনা পৌরসভার প্যানেল মেয়র হোসনেয়ারা চম্পা জানান, ওয়াশ এসডিজি প্রকল্পের আওতায় কর্মসূচি গ্রহণ করায় স্থানীয় সরকার (পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ) পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন বাজেট বরাদ্দ কয়েকগুণ বাড়িয়েছিলো এবং প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে।
বরগুনা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাইসুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন উঠান বৈঠক, ওয়ার্ড কমিটির সভাসহ বাড়ি পরিদর্শনে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীসহ সবার মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। ফলে পানি, স্যানিটেশনের উন্নতি হয়েছে।
কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, আর্সেনিক, লবণাক্ততা এবং ই-কলি ব্যাক্টেরিয়া, -তিনটি প্যারামিটারে মোট ৫৫৫টি খানার পানির নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এত জেলায় পানিতে ব্যাক্টেরিয়ার দূষণ বেড়েছে। বেইজলাইনে যা ছিল ১৯ শতাংশ। এটা দ্রুত নিরসন করা দরকার।