শিরোনাম
কুমিল্লা (দক্ষিণ), ২৮ আগস্ট, ২০২৩ (বাসস) : মাল্টা পাহাড়ি ফল হিসেবে পরিচিত হলেও সমতল ভূমিতেও রয়েছে এ ফলের ব্যাপক সম্ভাবনা। কুমিল্লার তিতাসে বাড়ির আঙ্গিনায় মাল্টা চাষ করে সফলতার মুখ দেখছেন কামাল উদ্দিন। তিনি বর্তমানে তিতাস উপজেলার ৫নং কলাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হিসেবে কর্মরত আছেন। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার হোমনা উপজেলার কাশিপুুর হলেও চাকরি করার সুবাদে তিতাস উপজেলায় স্বপরিবারে বসবাস করছেন।
জানা যায়, প্রায় ২ বছর পূর্বে পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মেটানোর জন্য উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ৪৫ টি মাল্টার চারা এনে বাড়ির আঙ্গিনায় ২০ শতাংশ জায়গার মধ্যে মাল্টা চাষ শুরু করেন ইউপি সচিব কাজী কামাল উদ্দিন। প্রথম বছর অল্প পরিমান মাল্টার ফলন হলেও এবছর প্রতিটি গাছে ৪০-৫০টি করে মাল্টা ঝুলছে। এতে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাজারেও বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন। এছাড়াও বাড়িটিতে রয়েছে কমলা, লেবু, পেঁপে, ড্রাগন, পেয়ারা, সফেদা, মরিচ, এলাচ, দারচিনি, করমচা, বেলেম্বো, কাঠাল, নারকেল, আমড়া, ল্যাংড়া ও রুপালি আমসহ প্রায় ২৫ ধরনের নানা প্রজাতির ফল গাছ।
এদিকে বাড়ির আঙ্গিনায় খালি জায়গাকে কাজে লাগিয়ে এধরনের একটি ফলজ বাগান সফলতার মুখ দেখায় বাগানটি দেখতে এবং পরামর্শ নিতে গ্রামের লোকজন আসেন তার বাড়িতে। অনেকে তার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে আঙ্গিনায় বাগান করার আগ্রহী হয়েছেন।
ইউপি সচিব কাজী কামাল উদ্দিন বাসসকে বলেন, আমি একজন গাছ পাগল। ছোট বেলা থেকে গাছ লাগাতে এবং পরিচর্যা করতে ভালোবাসি। তাই বাড়ির আঙ্গিনার খালি জায়গাকে কাজে লাগানোর জন্য মাল্টাসহ বিভিন্ন ধরনের ফল ও সবজির বাগানটি করেছি। চাকরি করার পাশাপাশি অবসর ও ছুটিরদিনে বাগানে সময় দিয়ে থাকি। এছাড়াও তিনি আরো বলেন, যেকোন বয়সের নারী-পুরুষ বাড়ির আঙ্গিনায় মাল্ট চাষ করতে চায় সে ক্ষেত্রে বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে তাদের সার্বিক সহযোগিতা করারও আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন বাসসকে বলেন, কাজী কামাল উদ্দিন তার বাড়ির আঙ্গিনায় মাল্টা চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। আমরা সবসময় তাকে পরামর্শ দিয়েছি। তার এ মাল্টার চাষ দেখে অনেকেই আগ্রহী হয়ে শুরু করে মাল্টার চাষ। আমরা এ বিষয়ে তাদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।