বাসস
  ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২০:৫৭

সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বৃদ্ধি ॥ ৫টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

সিরাজগঞ্জ, ১ সেপ্টেস্বর, ২০২৩ (বাসস) : উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 
পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর ৫টি উপজেলার ৪২টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল তলিয়ে যাচ্ছে। এতে পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন অনেক মানুষ। তলিয়ে যাচ্ছে আবাদি জমির ফসল, রাস্তা-ঘাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও তাঁত কারখানা। 
ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বিলীন হচ্ছে নদীতীরের ফসলি জমি ও বসতভিটা। 
এদিকে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। যেগুলো খোলা রয়েছে সেগুলোতেও নৌকা বা ভেলায় করে যাতায়াত করতে হচ্ছে। রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় এবং বাড়িতে পানি উঠায় এসব এলাকার মানুষজন দুর্ভোগে পড়েছেন। 
এছাড়াও এনায়েতপুরের ব্রাহ্মন গ্রাম, আড়কান্দি, পাঁচিল, চৌহালীর ভুতের মোড়সহ কয়েকটি পয়েন্টে নদীতীরে ভাঙ্গন  দেখা  দেওয়ায় ফসলি জমি ও বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। 
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলাউদ্দিন ভূঁইয়া জানান, পানি বৃদ্ধির ফলে  রোপাআমন ও আউশের  ক্ষেত, বীজতলা, সবজি, কলার বাগান ও আখসহ বিভিন্ন আবাদি জমির ফসল নষ্ট হয়ে  গেছে। প্রাপ্ত হিসেবে মতে সদর ও কাজিপুর উপজেলায় ২০৩ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে  গেছে। সিরাজগঞ্জ সদর,  বেলকুচি ও শাহজাদপুর উপজেলার তালিকা প্রনয়ণ না হওয়ায় এসব উপজেলার ক্ষয়ক্ষতির হিসাব এখনও পাওয়া যায়নি। 
চৌহালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা  হেকমত আলী জানান, ‘উপজেলার ২ হাজার ১৯০টি পরিবারের অন্তত সাড়ে ৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব পরিবারের তালিকা তৈরি করে  জেলা অফিসে পাঠানো হয়েছে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রণজিত কুমার সরকার জানান, প্রায় ১০দিন যাবত যমুনার পানি বাড়ছে। বর্তমানে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।