বাসস
  ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১:২৭

সুরের ধারা এদেশের চিরায়ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারক : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, সুরের ধারা শুধুই সংগীত প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান নয়, এটি এদেশের চিরায়ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারক ও পরিপোষক। সুরের তালে তালে সংগঠনটির সৃষ্টি।
আজ বিকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর রামচন্দ্রপুর (ভাঙ্গা মসজিদ সংলগ্ন) নিজস্ব জমিতে সংগীত সংগঠন 'সুরের ধারা' আয়োজিত বৃক্ষরোপণ উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বৃক্ষরোপণ উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতির পিতা  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা।
বিশেষ অতিথি এম খালিদ আরো বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্যকে দোর্দন্ড প্রতাপে শাসন করেছেন, সমৃদ্ধ করেছেন। সুরের ধারা সংগঠনের  কর্ণধার বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীতের জীবন্ত কিংবদন্তি রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। জন্মলগ্ন থেকে বিগত তিন দশক ধরে সুরের ধারা বাংলাদেশের সংস্কৃতি ভুবনে তার অর্থবহ পথচলায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও বুদ্ধিজীবী মহলের আন্তরিক সহযোগিতায় বিকশিত ও সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, কবিগুরুর জন্ম না হলে বাংলা সাহিত্যের শ্রীবৃদ্ধি ঘটতো কিনা জানি না। আর তাঁর জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ কেটেছে আমাদের এ বাংলাদেশে।  
কে এম খালিদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবিগুরু অনুরক্ত ছিলেন এবং তাঁর আদর্শ-চেতনা অন্তরে ধারণ ও লালন করতেন। প্রতিমন্ত্রী এসময় 'সুরের ধারা'র জন্য সদ্য নির্মিত বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস ভবনে প্রয়োজনীয় স্থান বরাদ্দের আশ্বাস প্রদান করেন।
'সুরের ধারা'র চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষ রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে আরও বক্তৃতা করেন ঢাকা উত্তর সিটি  কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলক এমপি, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা, সামিট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান, রসিন ইমপোর্ট এক্সপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী  কর্মকর্তা এস এম শাহিনুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন 'সুরের ধারা'র চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষ রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। উৎসবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্যে ছিলো শিশুদের শোভাযাত্রা, সংগীত পরিবেশনা ও কবিতা আবৃত্তি।
উল্লেখ্য, 'সুরের ধারা'র জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত এ জায়গাটিকে সবার নিকট পরিচিত করে তোলার উদ্দেশ্যেই মূলতঃ এ বৃক্ষরোপণ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এখানেই অদূর ভবিষ্যতে গড়ে উঠবে সুরের ধারার নতুন ভবনসহ স্থায়ী অবকাঠামো। সুরের ধারা বিশ্বাস করে যে, বৃক্ষরোপণ উৎসব আমাদের মৃত্তিকাসংলগ্ন করবে, দেশের মাটির কাছে আমাদের দায়কে মূর্ত করে তুলবে।
প্রতিমন্ত্রী পরে রাজধানীর আলোকি কনভেনশন সেন্টারে সেরা ডিজিটাল ৩৬০ আয়োজিত 'ঢাকা ফ্যাশন ডে ২০১৩'- কর্মসূচি উদ্বোধন করেন ও প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন।