শিরোনাম
যশোর, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ (বাসস): যশোরে প্রথমবারের মতো রেকর্ড পরিমাণ চাল সংগ্রহ করেছে খাদ্য
বিভাগ। চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় ৩৮ হাজার ৫১৭ টন চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে খাদ্য অধিদপ্তর। ইতিমধ্যে ৩৩ হাজার ৭৬৮ টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। সামনে যে সময় রয়েছে তার মধ্যে বাকিটাও সংগ্রহ হবে বলে আশাবাদী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক। এবারই প্রথম যশোরে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ চাল বরাদ্দ আসছে এবং সেই অনুপাতে সংগ্রহ হয়েছে। ৯০ জন চুক্তিবদ্ধ মিল মালিকের কাছ থেকে উল্লেখিত পরিমাণ চাল সংগ্রহ করেছে জেলা খাদ্য অফিস।
খাদ্য বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকার অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর বেশি চাল সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। এ লক্ষ্যে প্রথম দফায় যশোরে ৩২ হাজার ৮২ টন চাল কেনার অনুমতি দেয় অধিদপ্তর। পরে বরাদ্দ আর ৬ হাজার ৫৩৪ টন বৃদ্ধি করে। সর্বমোট ৩৮ হাজার ৫১৭ টন চাল কেনার নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
ইতিমধ্যে যে ৩৩ হাজার ৭৬৮ টন চাল কেনা হয়েছে তার মধ্যে সদর খাদ্য গুদামে ৫ হাজার ৯৭৮, রূপদিয়ায় ১ হাজার ৪২৪, মণিরামপুরে ২ হাজার ৯৩৬, কেশবপুরে ৩৯৭, নওয়াপাড়ায় ৭ হাজার ১৩১, ঝিকরগাছায় ২ হাজার ১৮৯, নাভারণে ৮ হাজার ১০৮, বাগআঁচড়ায় ২ হাজার ৬২২, খাজুরায় ১ হাজার ৩২২ ও চৌগাছায় ১ হাজার ৬৫৮ টন রয়েছে। গত ৩০ আগস্ট পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার ৮৮ শতাংশ কেনা হয়েছে।
এ বছর এতবেশি পরিমাণ চাল কেনা কীভাবে সম্ভব হলো সেই বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নিত্যানন্দ কুন্ডু জানান,‘এখনো পর্যন্ত মার্কেট সরকারের অনুকূলে। এ বছর বোরো মৌসুমে মোটা চালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৪ টাকা কেজি। বাজারে মোটা চালের দাম এখনো ৪৪ টাকার কম। মিলগেটে মোটা চালের দাম পড়ছে ৪৩-সাড়ে ৪৩ টাকা। ফলে, মিলাররা লাভে আছেন। গত কয়েক বছরের মধ্যে এবারের বোরো মৌসুমে চুক্তিবদ্ধ মিল মালিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে চাল সরবরাহ করছেন। এ মৌসুমে যাচাই বাছাই করে ৯০ জন মিল মালিকের সাথে চুক্তি করা হয়েছে। যাদের প্রত্যেকেই ইতিমধ্যে কমবেশি চাল দিয়েছেন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নিত্যানন্দ কুন্ডু জানিয়েছেন, এর আগে যশোরে সর্বোচ্চ ২৭ হাজার টন চাল কেনার বরাদ্দ পাওয়া যায়। সেই বরাদ্দের রেকর্ড ভেঙে এ মৌসুমে ৩৮ হাজার ৫১৭ মেট্রিকটন চাল কেনার বরাদ্দ মিলেছে। যা যশোরের মানুষের জন্য ইতিবাচক। সরকারিভাবে যদি বেশি চাল সংগ্রহ করা যায় তাহলে বাজার স্থিতিশীল থাকে। যার প্রমাণ এখনই পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমানে যশোরের বাজারে মোটা চালের বিক্রি একেবারেই কমে গেছে। যে কারণে বিক্রেতারা চাইলেও আর দাম বাড়াতে পারছেন না।
এদিকে, এ মৌসুমে চালে লাভ হওয়ায় অনেক মিল মালিক অতিরিক্ত বরাদ্দ পাওয়ার আশায় খাদ্য কর্মকর্তাদের কাছে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।