শিরোনাম
বগুড়া, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার কামালপুরের ইছামারায় আবার
যমুনার ভাঙ্গন ভয়বহ রুপ ধারন করেছে । বৃহস্পতিবারের ভাঙনের ক্ষত চিহ্ন না যেতেই শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় আবার ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে সেখানে ।
উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানান, শনিবার সকালে নতুন করে প্রায় ৩০মিটার জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা প্রশাসন নতুন ভাঙন ঠেকানোর জন্য বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছে। ইছামারায় বৃহস্পতিবারের ব্যাপক নদীর ধ্বংস যজ্ঞের যে সকল ঘর-বাড়ি ভেসে গিয়েছিল সে গুলো আবার ভেসে উঠতে শুরু করছে।
যমুনাকে যেন কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছে না। সেখানে বইছে প্রবল স্্েরাত। ইছামারায় থেকে বৃহস্পতিবার যমুনার তীর থেকে অনেকে বাড়ি-ঘর স্থানান্তর করেছে। বৃহস্পতিবারের ভাঙনে গৃহ হারা শতাধিক পরিবার উঁচু স্থানে অথবা স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে।
শনিবার দুর্গত এলাকায় শুকনো খাবার বিতরণ করা হবে এমনটি জানান জেলা প্রশাসক মো: সাইফুল ইসলাম। তিনি আরো জানান ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে টিনে জন্য আবেদন করা হয়েছে। টিন পেলে গৃহ হারা মানুষদের গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হবে। এখন তাবু দিয়ে তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেয়া হবে।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় ৭ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বগুড়ায় সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনার পানি শনিবার সকাল ৯ টায় বিপদ সীমার২২সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে উপজেলা কামালপুরের ইছামারা ,টিটুর মোড়, ফকিরপাড়া খোকার মোড়ে ঝুঁকিপূর্ণর্ হয়ে উঠেছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডর কর্মকর্তারা।
তারা আরো জানান ,উপজেলার যমুনার চর অঞ্চল বোহাইল ,কাজলা , কর্নিবড়ির নিচু জায়গা গুলো পানিতে তলিয়েগেছে। মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছে।
এ দিকে উপজেলার হাসনাপাড়া স্পারের ভাঙ্গন সামায়িকভাবে রোধ করাসম্ভব হয়েছে। স্পার আপাতত নিরাপদ আছে বলে জানিয়েছেন পাউবোর কর্মকর্তারা।
সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসার জানান, যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে উপজেলায় ১৭২ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে রোপা আমন ১৫০ হেক্টর, আমনবীজতলা ১২ হেক্টর ও ১০ হেক্টর শাক-সবজিন নষ্ট হয়েছে।