শিরোনাম
ঢাকা, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (সংশোধন) বিল, ২০২৩’ উত্থাপন করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী (সংসদ কার্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত) আ ক ম মোজাম্মেল হক আজ জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপনের প্রস্তাব করেন।
বিলটির বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান, উৎপাদন এবং রপ্তানি বৃদ্ধি ও বহুমুখীকরণে উৎসাহ প্রদানের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং উন্নয়ন, পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনে ২০১০ সালে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল, ২০১০ আইন প্রণয়ন করা হয়। সরকার কর্তৃক ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম সম্পাদনের লক্ষ্যে ‘একুইজিশন এন্ড রিকুইজিশন অব ইম্মুভাবেল প্রপার্টি অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২’ রহিতপূর্বক ‘স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন, ২০১৭ প্রণীত হয়েছে। ফলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন, ২০১০ এর ধারা ৬ এ ‘একুইজিশন এন্ড রিকুইজিশন অব ইম্মুভাবেল প্রপার্টি অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২’ এর স্থলে ‘স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন, ২০১৭’ প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন।
উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন, ২০১০ এর ধারা ১৩ এ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং এর প্রতিষ্ঠানসমূহকে কতিপয় আইন থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। এরমধ্যে কয়েকটি আইন পরবর্তীতে রহিত হওয়ার ফলে এবং এরস্থলে নতুন আইন প্রণীত হওয়ার কারণে ধারা ১৩ এ সংশোধনীর প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়। এই প্রেক্ষিতে বিদ্যমান ধারা ১৩ এ উল্লিখিত ইলেক্ট্রিসিটি এ্যাক্ট, ১৯১০; বয়লার এ্যাক্ট, ১৯২৩; ইনকাম ট্যাক্স অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৪এবং মূল্য সংযোজন কর আইন, ১৯৯১ রহিতপূর্বক এর স্থলে জাতীয় সংসদে প্রণীত বিদ্যুৎ আইন, ২০১৮; বয়লার আইন, ২০২২; আয়কর আইন, ২০২৩ এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন, ২০১০ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় সন্নিবেশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহের জন্য এ যাবৎ পৃথক কোনো শ্রম আইন প্রণয়ন করা হয়নি। অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে ইপিজেড শ্রম আইন, ২০১৯ প্রয়োজনীয় অভিযোজনসহ প্রযোজ্য করা হয়েছে বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন, ২০১৯ কেবল রপ্তানিমূখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কিন্তু অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহের শিল্প প্রতিষ্ঠান আভ্যন্তরীণ বাজার-চাহিদা পূরণ এবং রপ্তানিমূখী-এ উভয় উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত। এমতাবস্থায় অর্থনৈতিক অঞ্চলের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ অধিকতর সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। কাজেই বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ প্রয়োজনীয় অভিযোজনসহ অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রয়োগের লক্ষ্যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন, ২০১০ এর ধারা-৩৪ সংশোধন করা আবশ্যক।
পরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিলটি অধিকতর পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠিয়ে দেন।