শিরোনাম
পিরোজপুর, ১৬ সেপ্টেম্বর , ২০২৩ (বাসস) : জেলার জেলার ৭ উপজেলা ও ৪ পৌর এলাকায় রবি মৌসুমে ফসল আবাদের জমি ও উৎপাদনের পরিমাণ প্রতি বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২২-২০২৩ রবিমৌসুমের চেয়ে চলতি ২০২৩-২০২৪ রবিমৌসুমে ২ হাজার ৩০৯ হেক্টর অধিক জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ অধিক জমিতে অতিরিক্ত ২৫ হাজার ২২৯ মেট্রিকটন রবিশস্য উৎপাদিত হবে। ২০২২-২০২৩ মৌসুমে জমি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬২ হাজার ৬৯৪ হেক্টর। চলতি বছর এ জমি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫ হাজার ৩ হেক্টরে। ২০২২-২৩ রবি মৌসুমে রবিশস্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লক্ষ ৭১ হাজার ১৪৩ মেট্রিকটন নির্ধারিত থাকলেও চলতি মৌসুমে এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লক্ষ ৯৬ হাজার ৩৭২ মেট্রিক টন। চলতি মৌসুমে চষিদের রবিশস্য চাষে উৎসাহিত করা এবং ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৫ হাজার ৬৭০ জন ক্ষুদ্র ও প্রন্তিক চাষিকে ২ কোটি ২০ হাজার ৬৫০ টাকা প্রণে াদনা দেয়ার কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। চলতি রবি মৌসুমে ১৯ হাজার হেক্টরে ৯৭ হাজার ২৮০ মেট্রিকটন বোরো চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অনুরূপভাবে ১০৫ হেক্টরে ৩১৫ মেট্রিকটন গম, ১ হাজার ৫০ হেক্টরে ২১ হাজার মেট্রিকটন আলু। ৪শত হেক্টরে ৮ হাজার মেট্রিক মিষ্টি আলু, ২৫০ হেক্টরে ১১ হাজার ২৫০ মেট্রিকটন আখ । ৮শত হেক্টরে ৮ হাজার মেট্রিকটন ভুট্টা, ৭ হাজার ৫৫০ হেক্টরে ১ লক্ষ ৫১ হাজার মেট্রিকটন বিভিন্ন জাতের শাকসবজি । ১২০ হেক্টরে ৪ হাজার ৮শত মেট্রিকটন তরমুজ ও ১৩০ হেক্টরে ৩ হাজার ২৫০ মেট্রিকটন ফুটি।৮০ হেক্টরে ১ হাজার ৪০ মেট্রিকটন ক্ষিরা, ৬০ হেক্টরে ১ হাজার ৮০ মেট্রিকটন মরমা। ৮০ হেক্টরে ১ হাজার ৪০ মেট্রিকটন শসা, ৪৬০ হেক্টরে ৫৫২ মেট্রিকটন সরিষা, ১৫০ হেক্টরে ৩৩৮ মেট্রিকটন চীনাবদাম। ৭৫০ হেক্টরে ২ হাজার ২৫০ মেট্রিকটন সূর্যমূখী, ৪০ হেক্টরে ৪০ মেট্রিকটন তিল। ১৫০ হেক্টরে ১ হাজার ৩৫০ মেট্রিক টন ঁেপয়াজ, ১শত হেক্টরে ৮১০ মেট্রিকটন রসুন। ৭শত হেক্টরে ১ হাজার ৫০ মেট্রিকটন মরিচ, ২৮০ হেক্টরে ৪৪৮ মেট্রিকটন ধনিয়া, ১১ হাজার হেক্টরে ১২ হাজার ৬৫০ মেট্রিকটন খেসারী, ৭ হাজার হেক্টরে ১০ হাজার ৫শত মেট্্িরকটন মুগ, ১৬৫ হেক্টরে ১৮২ মেট্রিকটন মসুরসহ বিভিন্ন জাতের রবিশস্য ও শাকসজবি উৎপাদনের জমি ও ফসলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পিরোজপুরের উপ-পরিচালকের কার্যালয়ের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অরুন রায় বাসসকে , বোরো এবং রবিশস্য চাষিদের উৎসাহিত করতে প্রণোদনা সাহায্য প্রতি বছরের ন্যায় এবারও দেয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমেও লক্ষ্যমাত্রা শুধু অর্জন নয় অতিক্রম করাও সম্ভব হবে। পিরোজপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি শফিউল হক মিঠু বলেন রবিশস্য চাষিদের প্রণোদনা দেয়ার লক্ষ্যে অর্থের পরিমাণ চলতি বছর ২ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এর ফলে রবিশস্য চাষিরা চাষে অধিক আকৃষ্ট হচ্ছে এবং এর ফলে উৎপাদনের পরিমাণ প্রতি বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের বিশেষ করে নাজিরপুরের রবিশস্য চাষিদের ক্ষেত থেকে টাটকা শাকসবজি কিনে এনে ভ্যানে করে পিরোজপুর শহরের বিভিন্ন সড়কে বিকেল হলেই ঘুরে ঘুরে বিক্রি করে এক শ্রেণির সবজি ব্যবসায়ী। লাউ, করলা, লালশাক, কাকরোল, বরবটি, মিষ্টিকুমড়াসহ বিভিন্ন জাতের শাকসবজি শহরের মানুষ উৎসাহের সাথে কিনে থাকে।