বাসস
  ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২০:৫৮

বান্দরবানে ৭ কোটি ২০ লাখ টাকার ৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন বীর বাহাদুর 

বান্দরবান, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : বান্দরবান পৌর এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন ও ময়লা পানি দ্রুত নিষ্কাষনসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের আধুনিক সুবিধা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
তিনি আজ শনিবার বান্দরবান পৌর এলাকার বনরুপা পাড়ায় ড্রেন নির্মাণ কাজ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নে ৭ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৯টি কাজের উদ্বোধন করেন।
পরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বাস্তবায়নে ৪ কোটি ৪১ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩ তলা বিশিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
পরে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। 
সভায় অন্যদের মধ্যে বান্দরবান জেলার সহকারী পুলিশ সুপার মো. আমজাদ হোসেন, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অরুপ রতন সিংহ, পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ সামসুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র সৌরভ দাশ শেখর, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম মজুমদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাতসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বীর বাহাদুর বলেন, প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনার আন্তরিকতা আর সৎ নের্তৃত্বের কারণে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আর এই সরকারের আমলে সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। 
পার্বত্যমন্ত্রী  বলেন, অতীতে পার্বত্য এলাকার যে অবস্থা ছিল শান্তি চুক্তির পর পার্বত্য এলাকায় শান্তি বিরাজ করছে এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। 
তিনি বলেন, ২০০৬ সালে যেখানে পার্বত্য অঞ্চলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল হাতে গোনা কয়েকটি। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার তা বাড়িয়ে সাত গুণেরও বেশিতে উন্নীত করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টির কারণেই বান্দরবান জেলায় ১৪টি কলেজ হয়েছে। প্রত্যেক উপজেলায় কলেজ গড়ে ওঠেছে। 
মন্ত্রী বলেন, একসময় বান্দরবানে দুর্গম উপজেলা থানচির ছেলেমেয়েদের শহরে লেখাপড়া করার সুযোগ ছিল না। যেখানে থানচি থেকে বান্দরবান শহরে পৌঁছাতেই তিন দিন লেগে যেতো। ২০০৬ সালে সেখানে মাত্র দুটি অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করার মতো নি¤œমাধ্যমিক বিদ্যালয় ছিল। যার মধ্যে সেসময় সেই বিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল খুবই নগন্য। অথচ সেই জায়গায় প্রধানমন্ত্রী নিজে পরিদর্শনে গিয়েছেন। অষ্টম শ্রেণির বিদ্যালয়গুলোকে তিনি হাই স্কুলে পরিণত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেখানে স্কুলগুলো সরকারিকরণ করা হয়েছে। কোনোটা আবার এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। সেখানকার ছেলেমেয়েদের এসএসসি পরীক্ষা দিতে এখন আর কষ্ট করে শহরে আসতে হয় না।  এসএসসি পরীক্ষার সেন্টার হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সেখানে কলেজও হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আগের কোনো সরকারের আমলে বান্দরবান পার্বত্য অঞ্চলে শিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীরা এমন সুযোগ সুবিধা পায়নি। থানচির সাথে বান্দরবানের সুন্দর যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য রাস্তা হয়েছে। তিন দিনের রাস্তা এখন তিন ঘন্টায় যাওয়া যায়। পার্বত্যবাসীদের জন্য এ সরকার যেরকম সুযোগ সুবিধা করে দিয়েছে আর কোনো সরকারের আমলে কেউ কি এমন সুযোগ সুবিধা করে দেয়নি।
মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যতবারই ক্ষমতায় এসেছে, দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছে। তাই সকলে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে বার বার বিজয়ী করেছে। গরীব অসহায় ও দুঃস্থদের বর্তমান সরকার যেভাবে সহযোগিতা করছে তা আগের অন্য কোন সরকার স্বপ্নেও চিন্তা করেনি।