শিরোনাম
কুমিল্লা, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ (বাসস): জেলায় নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সার্ধশত বর্ষ উদযাপিত হয়েছে। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বর্ণাঢ্য আয়োজনে গতকাল হাজারো শিক্ষার্থীর মিলন মেলায় পরিণত হয় নারী জাগরণের অগ্রদূত মহিয়সী নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণীর প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয় প্রাঙ্গন।
সার্ধশত বছর উদযাপন উপলক্ষে দেশ-বিদেশের থাকা শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে ১৮৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়ের আঙিনা ও কক্ষসমূহ। দিনব্যাপী আয়োজিত নানান অনুষ্ঠানামালার মধ্যে ছিল বর্ণাঢ্য র্যালি, নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণীর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ছবি প্রদর্শন, স্মৃতিচারণ, আলোচনা সভা, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে প্রাক্তন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের প্রদত্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হয়। শিক্ষার্থীদের মিলন মেলায় পারস্পরিক শুভেচ্ছা বিনিময় আনন্দ উল্লাসে সবাই মেতে উঠেন। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দেড়শত বছরে প্রথমবারের মতো বিপুল সংখ্যক প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষিকার আগমনে আনন্দে সবাই আপ্লুত হয়ে পড়েন।
বিকেলে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আকম বাহাউদ্দিন বাহার। বিশেষ অতিথি ছিলেন নারী নেত্রী মেহেরুন্নেছা বাহার, সংসদ সদস্য সেতু ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পংকজ বড়–য়া, সাংস্কৃতিক সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমূল হাসান পাখি। প্রধান বক্তা ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী উদযাপন কমিটির আহবায়ক সংসদ সদস্য অ্যারমা দত্ত।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাশেদা আক্তার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন- বিদ্যালয়ের সার্ধশত বছর উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী এডভোকেট ফাহমিদা জেবিন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আকম বাহাউদ্দিন বাহার বলেন, কুমিল্লার গর্ব কৃতি সন্তান নারী জাগরণের অগ্রদূত নবাব ফজুন্নেছার প্রতিষ্ঠিত প্রাচীনতম ঐতিহ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নবাব ফজুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি আমাদের অহংকার। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের উন্নয়নে ১০তলা ভবন নির্মাণ হচ্ছে এবং ৬তলা বিশিষ্ট আরো একটি ভবন নির্মাণ করার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। দেশে বর্তমানে উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন- ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গর্বিত সস্তান হিসেবে আজকের শিশু-কিশোররা ধনী ও জ্ঞানী রাষ্ট্রের সুযোগ সুবিধা ভোগ