শিরোনাম
ঢাকা, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার প্রবীণ নাগরিকদের প্রতি অত্যন্ত সংবেদন ও শ্রদ্ধাশীল। প্রবীণ নাগরিকদের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা সুরক্ষার জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে । তিনি আগামীকাল ‘আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস’ উপলক্ষ্যে আজ দেয়া এক বাণীতে এ আহবান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস’ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও প্রবীণ নাগরিকদের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাঁদের বিভিন্ন রকম চ্যালেঞ্জ। দেশের উন্নয়নের সাথে সাথে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। যাঁদের শ্রম, মেধা, অভিজ্ঞতা দেশ গড়ার ক্ষেত্রে অবদান রেখেছে, তাঁদের প্রতি দায়িত্ব পালন আজ সকলের নৈতিক দায়িত্ব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আজকের প্রবীণ নাগরিকগণই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে লাল-সবুজের পতাকা অর্জন করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রবীণ নাগরিকদের প্রতি ছিলেন অত্যন্ত সংবেদনশীল। বাংলাদেশের সংবিধানে প্রবীণ নাগরিকদের সামাজিক নিরাপত্তা বিধানের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫(ঘ)অনুচ্ছেদে অসহায় প্রবীণদের জন্য সাংবিধানিক অঙ্গীকার তিনি সন্নিবেশিত করেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সরকারই সর্বপ্রথম ১৯৯৬ সালে বয়স্কভাতা কার্যক্রমসহ বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি প্রবর্তন করে। আজ এ উদ্যোগ দেশ-বিদেশে ব্যাপকভাবে সমাদৃত ও প্রশংসিত। আমরা প্রতি উপজেলায় বয়স্কভাতা প্রাপ্তিযোগ্য সকল প্রবীণ নাগরিককে পর্যায়ক্রমে এ কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ২০১৩ সালে সরকার জাতীয় প্রবীণ বিষয়ক নীতিমালা, পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন প্রবর্তন করে। আমরা অবসরপ্রাপ্ত প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের জন্য পেনশন সহজীকরণ, বৈশাখী ভাতা প্রদান, ইএফটি’র মাধ্যমে সরাসরি তাঁদের পাওনা পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। ’
শেখ হাসিনা বলেন, প্রবীণ নাগরিকদের মর্যাদা, অগ্রাধিকার ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে সরকার অনন্য ভূমিকা পালন করেছে। সম্প্রতি সরকারি চাকুরীজীবীর বাইরে সর্বজনীন পেনশন ভাতা প্রবর্তন আমাদের সরকারের একটি বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে দেশের প্রবীণ জনগোষ্ঠী নিরাপদ আর্থিক সমর্থন লাভের মাধ্যমে শেষ বয়সে পাবেন নিরাপত্তা ও সচ্ছল জীবন ধারণের অনন্য সুযোগ। প্রধানমন্ত্রী ‘আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস ২০২৩’- এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।