বাসস
  ১০ অক্টোবর ২০২৩, ১৯:৫১

নোয়াখালীতে দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন

নোয়াখালী, ১০ অক্টোবর,  ২০২৩ (বাসস): জেলার সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নে কামরুল ইসলাম সাগর (২০) নামের এক যুবককে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় মিঠু চন্দ্র দাস ও জিতু চন্দ্র দাস নামের দুইভাইকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছে আদালত।
একই সাথে আসামিদের দশ হাজার টাকা অর্থদ- অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদ- দেওয়া হয়েছে। পৃথক একটি ধারায় তাদের আরও দশ বছরের কারাদ- এবং পাঁচ হাজার টাকা অর্থদ- অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদ- প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার  নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ নিলুফার সুলতানা এ রায় প্রদান করেন।
দ-প্রাপ্তরা হচ্ছে- মিঠু চন্দ্র দাস ও জিতু চন্দ্র দাস। তারা মধ্য চরবাটা গ্রামের পূণ্য মহাজন বাড়ির মনোরঞ্জন দাসের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানাগেছে, একই বাড়িতে বসবাসের সুবাদে দুঃসম্পর্কের চাচা রহমত উল্ল্যার মেয়ে মমতাজ বেগমের (১৯) সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে কামরুল ইসলাম সাগরের। এনিয়ে রহমত উল্যার পরিবারের লোকজন একাধিকবার সাগরকে মারধরের চেষ্টা করে এবং নিজের মেয়েকে সরিয়ে রাখতে চায়। কিন্তু মমতাজ বেগম পরিবারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সাগরের সাথে দেখা করতো । এভাবে তাদের সম্পর্ক চলতে থাকে তিন থেকে চার বছর। এরমধ্যে মিঠু নামে অপর এক যুবকের সাথেও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে মমতাজের। এর সূত্রধরে মিঠু বিভিন্ন সময় সাগরকে হুমকি-ধমকি দেয়।
২০১৮ সালের ৮জুন মমতাজের সাথে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে সাগরের বাড়ির পাশের সড়কে মিঠুর সাথে সাগরের হাতাহাতি হয়। ওইদিন রাতে সাগরকে কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় মিঠু ও জিতু। পরে ৯জুন রাত ১টার দিকে মিঠু ও জিতু প্রথমে সাগরকে মারধর এবং পরে মিঠু সাগরের বুকের ওপর চেপে বসে এবং জিতু তাকে শ^াসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে বস্তায় ঢুকিয়ে পাশ^বর্তী একটি বাগানে ফেলে দেয়। পরদিন পুলিশ ওই স্থান থেকে সাগরের মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে এ ঘটনায় সাগরের ভাই বাদি হয়ে মিঠু ও জিতুসহ ৮জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) গুলজর আহমেদ জুয়েল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামিদের উপস্থিতিতে বিচারক রায় প্রদান করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত দুই আসামি মিঠু ও জিতুকে যাবজ্জীবন কারাদ- প্রদান করেন।