শিরোনাম
ঢাকা, ১৫ অক্টোবর, ২০২৩ (বাসস) : সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ভাওয়াইয়া গানকে জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে আব্বাসউদ্দীন আহমদ ও তাঁর পরিবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। আর এজন্যই আব্বাসউদ্দীন আহমদকে 'ভাওয়াইয়া সম্রাট' বলে অভিহিত করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী আজ রোববার রাজধানীর গুলশান লেডিস ক্লাবে বিশিষ্টলোক সংগীতশিল্পী আব্বাসউদ্দীন আহমদ এর ১২২তম জন্মবার্ষিকী ও আব্বাসউদ্দীন সংগীত একাডেমির ৩৫ বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে একাডেমি আয়োজিত সংগীত বিষয়ক বিভিন্ন কোর্স সম্পন্নকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বংশপরম্পরায় এ লোকগানকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন আব্বাসউদ্দীন আহমদ এর পুত্র মোস্তফা জামান আব্বাসী, কন্যা ফেরদৌসী রহমান ও নাতনি নাশিদ কামাল। আব্বাসউদ্দীন আহমদ এর জীবন ও সৃষ্টিকর্ম নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে প্রতিবছর ভাওয়াইয়া সম্রাটের জন্ম ও মৃত্যু দিবসে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে বিশেষ সেমিনার ও আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়ে থাকে।
প্রধান অতিথি বলেন, ভাওয়াইয়া গানের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে আমরা ইতোমধ্যে কুড়িগ্রামকে 'ভাওয়াইয়া নগরী' হিসাবে ঘোষণা করেছি। আব্বাসউদ্দীন আহমদ ভাষা আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচিত 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী'তে যার উল্লেখ রয়েছে।
কে এম খালিদ বলেন, বরেণ্য লোকসংগীত শিল্পী আব্বাসউদ্দীন আহমদ এর নামে প্রতিষ্ঠিত 'আব্বাসউদ্দীন সংগীত একাডেমি'কে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাৎসরিক অনুদান প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রতিমন্ত্রী এসময় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানসমূহে স্থান সংকুলান সাপেক্ষে 'আব্বাসউদ্দীন সংগীত একাডেমি'কে স্থান বরাদ্দের আশ্বাস প্রদান করেন।
আব্বাসউদ্দীন সংগীত একাডেমির অধ্যক্ষ বিশিষ্ট লোক সংগীতশিল্পী ফেরদৌসী রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট লোক সংগীতশিল্পী, সুরকার, গবেষক, অধ্যাপক ও আব্বাসউদ্দীন আহমদ এর কনিষ্ঠ পুত্র মোস্তফা জামান আব্বাসী এবং আব্বাসউদ্দীন আহমদ এর নাতনি অধ্যাপক ড. নাশিদ কামাল।