শিরোনাম
টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) ১৬ অক্টোবর, ২০২৩ (বাসস): “এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার রুখে দিন” এ স্লোগানকে সামনে রেখে গোপালগঞ্জে ৬৩ হাজার ৪৯৮ কিশোরী পাচ্ছে এইচপিভি টিকা ।
গতকাল রোববার গোপালগঞ্জ সরকারি শেখ হাসিনা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে এ কার্যেক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম। আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত মাসব্যাপী এ টিকাদান কর্মসূচি চলবে ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার আল বেলী অফিফা ও গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান।
গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাবেক সিভিল সার্জন ডা. চৌধূরী শফিকুল আলম, ইমুনাইজেশন কর্মকর্তা ডা. তানজিম তিষা সহ আরো অনেকে বক্তব্য দেন । পরে শিক্ষার্থীদের দেহে এইচপিভি টিকা প্রয়োগ করে এ কর্মসূিচর উদ্বোধন করা হয়।
গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে “৫ম থেকে ৯ম শ্রেণীতে অধ্যায়ন রত ৬১ হাজার ৬৭৪ জন ছাত্রী" এবং "১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ১ হাজার ৮২৪ জন কিশোরীকে বিনামূল্যে এইচপিভি টিকা প্রদান করা হবে । এ কর্মসূচি আওয়াতায় মোট ৬৩ হাজার ৪৯৮ কিশোরীরে দেহে এ টিকা প্রয়োগ করা হবে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৫ হাজার ২৫৬ জন, মুকসুদপুর উপজেলায় ১৫ হাজার ৪৪৭ জন, কাশিয়ানী উপজেলায় ১১ হাজার ৫০৮ জন, কোটালীপাড়া উপজেলায় ১০ হাজার ৬১২ জন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৫ হাজার ১২১ জন ও গোপালগঞ্জ পৌরসভায় ৫ হাজার ৫৫৪ জনের দেহে এইচপিভি টিকা প্রয়োগের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন আরো বলেন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর। গোপালগঞ্জ জেলায় গতকাল রোববার থেকে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আগামী ১৬ নভেম্বর এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন সমাপ্ত হবে ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. এসএম সাকিবুর রহমান জানান, গোপালগঞ্জ জেলার মোট ১ হাজার ৫২২ টি টিকাদান কেন্দ্র থেকে টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে । এটি সফল করতে ৪৩৭ জন টিকাদান কর্মী এবং ১ হাজার ৬৮০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। গোপালগঞ্জ জেলার ৫ উপজেলার ৬৮টি ইউনিয়ন ও ৪টি পৌরসভায় মোট ৬৩ হাজার ৪৯৮ জন কিশোরীর দেহে টিকা প্রয়োগ করা হবে। এ ক্যাম্পেইনের আওতায় ১ ডোজ করে এইচপিভি টিকা দেওয়া হবে । মাস ব্যাপী টিকাদান ক্যাম্পেইনে মোট ১৮ কর্মদিবসে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তারমধ্যে প্রথম ১০দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থায়ী কেন্দ্র সমূহে টিকা প্রয়োগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরবর্তী ৮ কর্মদিবসে নিয়মিত ইপিআই’র স্থায়ী এবং অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. এসএম সাকিবুর রহমান জানান, আমরা ইতিমধ্যে সব টিকা কেন্দ্রগুলোতে টিকা পাঠিয়েছি । জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ব্রিফিং করা হয়েছে।