শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ১৬ অক্টোবর ২০২৩ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১২ নভেম্বর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধন করবেন। রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন আজ সোমবার সকালে কালুরঘাট সেতু পরিদর্শনের পর মেরামত কাজের সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ তথ্য জানান। পরে মন্ত্রী সকাল ১০টার দিকে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন পরিদর্শনের জন্য দোহাজারী স্টেশন থেকে মোটর ট্রলিতে করে রওয়ানা হন।
রেল মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন সাংবাদিকদের বলেন, দোহাজারি-কক্সবাজার রেললাইন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্প। এই প্রকল্পটি আজকে পরিদর্শন করার জন্য এসেছি। কাজের সর্বশেষ অগ্রগতি দেখার জন্য। দু’একটি স্টেশনের সামান্য কাজ হয়ত বাকি আছে। আশা করি, ৩০ অক্টোবরের মধ্যে এ কাজগুলোও শেষ হয়ে যাবে। ্আগামী ২ নভেম্বর এই রেলপথে ট্রেনের ট্রায়াল রান করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ নভেম্বর এ রেললাইনের উদ্বোধন করবেন। মন্ত্রী বলেন, বহুল কাঙ্খিত দোহাজারি-কক্সবাজার রেললাইনের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও দেশবাসীর বহুল কাঙ্খিত স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। কক্সবাজার পর্যন্ত রেল চলাচল শুরুর পর ভবিষ্যতে এ রেলপথকে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেললাইন বসানোর কাজ শেষ এবং এখনই ট্রেন চলাচলের উপযোগী অবস্থায় রয়েছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-কক্সবাজার মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিলোমিটার। শুরুতেই এ প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করলে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। প্রকল্পটি এশিয়ান ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
এর আগে, কালুরঘাট সেতু মেরামতের কাজ পরিদর্শন করে মন্ত্রী জানিয়েছেন, পুরোনো এ সেতুটি মেরামতের কাজ চলছে। এ কাজ সম্পন্ন হলে কক্সবাজার রুটের ট্রেন নিরাপদে চলতে পারে। সেতুর ওপর ১৫ টন মিটারগেজ ইঞ্জিনের ট্রেন আগামী ৩০ বছর ঝুঁকিমুক্তভাবেই চলতে পারবে। কালুরঘাটে আগামী বছরের প্রথম দিকে আরেকটি সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। দুই লাইনের মিটারগেজ এবং চার লাইনের সড়ক থাকবে একই সেতুতে। সেটির কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই ব্রিজটি যেন আমরা ব্যবহার করতে পারি, সেভাবেই এটি তৈরি করা হচ্ছে।