শিরোনাম
লক্ষ্মীপুর, ১৭ অক্টোবর, ২০২৩ (বাসস) : জেলা সদরে ডাকাতিসহ হত্যা মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এডভোকেট জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রায়ের সময় দন্ডপ্রাপ্ত হোসেন পাটওয়ারী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দ-প্রাপ্ত অন্য ১০ আসামি পলাতক রয়েছেন। দন্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- মো. কাউছার, আবুল হোসেন, ছোট কামাল, বেলাল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, রিপন হোসেন, কবির হোসেন, ইসমাইল হোসেন, আলমগীর হোসেন ও আবুল কালাম বাহার।
এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় লিপি বেগম ও নুরনাহার বেগম নামে দুইজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ গঙ্গাশিবপুর গ্রামের আবুল খায়ের মাস্টার বেপারী বাড়ির মকবুল আহম্মদের ঘরে মুখোশধারী ডাকাতদল হানা দেয়। এসময় ঘরের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতরা। একপর্যায়ে তারা ঘরের গৃহকর্তা মকবুল আহম্মদের (৭০) বুকে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে ঘরে থাকা মূল্যবান মালামালসহ স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে যায় আসামিরা।
এ ঘটনায় পরদিন অজ্ঞাতদের আসামী করে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের মেয়ে দেলোয়ারা বেগম।
২০০৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কাশেম ভূঁইয়া ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমান শেষে ১১ আসামীর যাবজ্জীবন, দুইজনকে খালাশ দেন। বাকি এক আসামী মামলা চলাকালীন সময়ে মৃত্যুবরণ করেন।এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় লিপি বেগম ও নুরনাহার বেগম নামে দুইজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।