শিরোনাম
ঢাকা, ১৮ অক্টোবর, ২০২৩ (বাসস) : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, শেখ রাসেলসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যাকান্ডের মূল হোতা জিয়াউর রহমান।
তিনি আরো বলেন, পরে খালেদা জিয়ার সময়ে শাসনযন্ত্রের সহযোগিতায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয় যার মূল টার্গেট ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রতিমন্ত্রী রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২৩’ উদযাপন উপলক্ষে ‘শেখ রাসেল দীপ্তিময় নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময় বা পরে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অপশক্তি কোনো অনুকম্পা দেখায়নি। বরং এসব হত্যাকান্ডের সহযোগীদের তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসিয়েছে, মদদ জুগিয়েছে। সেজন্য এই অপশক্তিদের কোনো ক্ষমা নেই-শেখ রাসেল দিবসে এটাই হোক প্রতিজ্ঞা।
তিনি আরো বলেন, যেকোনো জন্মদিন আমরা সাধারণত আনন্দ, উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে উদযাপন করি। কিন্তু শেখ রাসেলের জন্মদিনে আমরা উল্লাস করতে পারি না, বেদনায় নীল হয়ে যাই, নিদারুণ বিষাদের ছায়া ভর করে। নিষ্পাপ, কোমলমতি শিশুটিকে কি নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।
বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক, লেখক ও গবেষক নাসরীন মুস্তফা। আলোচনা করেন শিশুসাহিত্যিক ও বাংলা একাডেমির ফেলো খালেক বিন জয়েনউদদীন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ রাসেল হত্যাকান্ড পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম নৃশংসতম ঘটনা। মেধাবী, উদ্যমী, নির্ভীক, নির্মল, দুর্জয় শিশুটিকে নিয়ে অনেক বই রচিত হয়েছে। শেখ হাসিনাও তার আদরের ছোট ভাই শেখ রাসেলকে নিয়ে ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’ শীর্ষক বইটি রচনা করেছেন। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা সম্পাদনা করেছেন ‘রাসেলের জন্য ভালোবাসা’ শীর্ষক বই।
এসব বই পড়ে নতুন প্রজন্ম রাসেলের জীবন ও আদর্শ সম্পর্কে জানতে পারবে এবং উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেদের জীবনে কাজে লাগাবে বলেও উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।
শেখ রাসেলকে নিবেদিত ছড়া পাঠ করেন কবি ও ছড়াকার আসলাম সানী এবং বাংলা একাডেমির ফেলো আনজীর লিটন। শেখ রাসেলকে নিয়ে সুজন বড়ুয়ার লেখা কবিতা আবৃত্তি করেন পারভেজ চৌধুরী। স্বরচিত কবিতা পাঠ করে শোনান রাজনীতিবিদ ও কবি নূহ আলম চৌধুরী লেনিন।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বাংলা একাডেমি আয়োজিত শিশু-কিশোরদের কবিতা ও প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করেন।