শিরোনাম
হবিগঞ্জ ২০ অক্টোবর, ২০২৩ (বাসস): উলুধ্বনি,শঙ্খধ্বনি, ঢাকের বাজনা আর কাসর ঘণ্টা বাজিয়ে ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে জেলায় শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর মাতুলালয় শ্রী শ্রী শচীঅঙ্গন ধামে শুরু হয়েছে বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা।
প্রসঙ্গত, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর মাতুলালয় শ্রী শ্রী শচীঅঙ্গন ধাম জেলার বাহুবল উপজেলার জয়পুর গ্রামে অবস্থিত। এটি একটি পবিত্র তীর্থস্থান।
শচীঅঙ্গন ধাম পূজা কমিটির সভাপতি শ্রী রণধীর চক্রবর্তী জানান, শুক্রবার সকাল ৯টায় দেবীর ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভে ষষ্ঠী পূজা শুরু হয়েছে। ষষ্ঠী তিথিতে বেলতলায় বিহিতপূজার পর দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে হয়েছে মূল দুর্গোৎসবের সূচনা। আগের দিন সন্ধ্যায় হয়েছে দেবীর বোধন। তারপর মাকে পূজা দিয়ে বরণ করে আমরা মন্দিরে নিয়ে গেছি। তিনি বলেন, শনিবার দেবীর সপ্তমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে এবং পরদিন রোববার বেলা ১১টায় মহাষ্টমী তিথিতে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর মায়ের বাড়ির পূজায় মূল আকর্ষণই হচ্ছে কুমারী পূজা।
হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, দশভূজা দেবী দুর্গা অসুর বধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রতি শরতে কৈলাস ছেড়ে কন্যারূপে মর্ত্যলোকে আসেন। সন্তানদের নিয়ে পক্ষকাল পিতার গৃহে কাটিয়ে আবার ফিরে যান দেবালয়ে। আশ্বিন শুক্লপক্ষের এই ১৫টি দিন দেবীপক্ষ, মর্ত্যলোকে উৎসব। মঙ্গলবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে এবারের দুর্গোৎসবের শেষ হবে। একটি বছরের জন্য ‘দুর্গতিনাশিনী’ দেবী ফিরে যাবেন কৈলাসে দেবালয়ে।
শ্রীশ্রী শচীঅঙ্গন ধাম মন্দির পরিচালনা পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক শ্রী পরিতোষ বনিক জানান, পূজা উপলক্ষে সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। মন্দিরের প্রবেশ পথে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা লাইন রাখা হচ্ছে। এবার বাহুবলে ৫২টি পূজা মন্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। দুর্গাপূজা ঘিরে ‘কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা’ নেয়ার কথা জানিয়েছে বাহুবল উপজেলা ও হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ প্রশাসন। এছাড়া কঠোর নিরাপত্তা নেয়ার কথা জানিয়েছে র্যাবও।