শিরোনাম
জয়পুরহাট, ২৩ অক্টোবর, ২০২৩ (বাসস): জেলায় জমে উঠেছে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় পর্ব শারদীয় দুর্গোৎসব । পূজা মন্ডপ গুলোতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আগামীকাল মঙ্গলবার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে এ দুর্গোৎসবের। রাজশাহী রেঞ্জের এডিশনাল ডিআইজি সাইফুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক সালেহীন তারভীর গাজী ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম রোববার সন্ধ্যায় জয়পুরহাটের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ ঘুরে দেখেন এবং খোজ খবর নেন।
বিভিন্ন মন্ডপ ঘুরে দেখা যায়, দুর্গোৎসব উদযাপন উপলক্ষে প্রতিটি মন্ডপে ঢাক-ঢোলক-কাঁসর বাজিয়ে কুমারী পূজা, কলাবউ ¯œান ও আদরিণী উমার সপরিবারে তিথি বিহিত পূজা করা হয়। এ ছাড়াও সকালে ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার চক্ষুদান, দেবীকে আসন , বস্ত্র, নৈবেদ্য, ¯œানীয়, পুষ্পমাল্য, চন্দন, ধুপ ও দীপ দিয়ে পূজা করেন ভক্তরা। রোববার সন্ধ্যায় পূজা মন্ডপ গুলোতে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শহরের বারিধারা মহল্লায় নবজাগ্রত সংসদ, মাষ্টারপাড়া, চিত্রাপাড়া, সবুজনগর, নিশিরমোড়, শ্যামúুর, তাজুরমোড়, সুগার মিলের হরিজন কলোনী ও মাদারগঞ্জ এলাকায় আয়োজিত দুর্গোৎসবে মানুষের ঢল বেশি লক্ষ্য করা যায় । মন্ডপ গুলোতে দুর্গাদেবীর মহীস্বাশুর বদ করার কাহিনী তুলে ধরেন ঠাকুররা এবং আয়োজন করা হয় আরতী প্রতিযোগিতার। র্যাবের টহলের পাশাপাশি আইন শৃংখলা বাহিনী বিশেষ করে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের কড়া নজরদারীর মধ্যে জেলায় এবার ৩০০ টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সুষ্ঠুভাবে দুর্গোৎসব উদযাপনের জন্য সরকারি ভাবে ১৫০ মে.টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পূজা মন্ডপ গুলোতে আইনশৃংখলা বাহিনীর তৎপরতায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শ্যামল কুমার সাহা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এ্যাড: হৃষিকেশ সরকার। আজ সোমবার মহানবমী ও আগামীকাল মঙ্গলবার বিজয়া দশমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে এবং মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে এ আবেগ ও আনন্দঘন পর্ব শারদীয় দুর্গোৎসবের। রাজশাহী রেঞ্জের এডিশনাল ডিআইজি সাইফুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক সালেহীন তারভীর গাজী ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলমসহ জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা মাদারগঞ্জ, বারিধারা, কেন্দ্রীয় বারোয়ারী পূজা মন্ডপসহ জেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ ঘুরে দেখেন। এ সময় এডিশনাল ডিআইজি সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আবহমানকাল থেকে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ। তাই উৎসব গুলোতে সকল ধর্মের লোকজনের উপস্থিতি সার্বজনীন হয়ে ওঠে।