বাসস
  ২৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৮:১১

‘বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা বিল, ২০২৩’ উত্থাপন

ঢাকা, ২৩ অক্টোবর, ২০২৩ (বাসস) : জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা বিল, ২০২৩’ উত্থাপন করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক আজ জাতীয় সংসদে বিলটি উত্থাপনের প্রস্তাব করেন।
বিলে বলা হয়েছে, অর্জিত চিকিৎসা শিক্ষা যোগ্যতা ব্যতীত অন্য কোনো কোর্সের নাম, ডিগ্রি, সনদ, উপাধি, পদবি, বিবরণ বা প্রতীক ব্যবহার, প্রকাশ বা প্রচার করিলে এটি হবে একটি অপরাধ, এবং সে কারণে তিনি অনধিক ১ বৎসর কারাদন্ড বা অনধিক ১ লাখ টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হবেন।
বিলের বিধান লঙ্ঘন করে হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়াতে অন্তর্ভুক্ত নেই এমন কোনো ঔষধ চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্রে লিখলে বা বললে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অনধিক ১ বৎসর কারাদন্ড বা অনধিক ১ লাখ টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।
বিলে বলা হয়, কোনো ব্যক্তি নিবন্ধন ব্যতীত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হিসাবে হোমিওপ্যাথিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা প্রদান বা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব পালন বা শিক্ষাদান করলে অথবা হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়াতে অন্তর্ভুক্ত ঔষধ ব্যতীত অন্য কোনো ঔষধ মজুদ, প্রদর্শন বা বিক্রয় করেন তা হলে তিনি অনধিক ১ বৎসরের কারাদন্ড বা অনধিক ১ লাখ টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।
বিলে আরও বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান স্বীকৃতি বিহীন কোনো হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনো কোর্স পরিচালনা বা সনদ প্রদান করলে এবং এ জন্য তিনি বা ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক বা স্বত্বাধিকারী, চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বাহী পরিচালক, ব্যবস্থাপক, অংশিদার বা অন্য কোনো কর্মকর্তা বা এজেন্ট বা প্রতিনিধি বা অন্য যে কোনো নামেই অভিহিত হউক না কেন, অনধিক ৩ (তিন) বৎসরের কারাদন্ড বা অনধিক ৫ লাখ টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করতে পারেন যে, উক্ত অপরাধ তার অজ্ঞাতসারে হয়েছে অথবা উক্ত অপরাধ রোধ করার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন।
বিলটির উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে স্বাস্থ্য বলেন, বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ডিপ্লোমা, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সনদ প্রদান, নিবন্ধন, গবেষণা এবং চিকিৎসা শিক্ষার মান উন্নয়নে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও গবেষক তৈরি করার লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন, ২০২৩’ প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। উল্লেখ্য, সামরিক আমলে জারীকৃত ‘দ্য বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক প্র্যাক্টিশনার্স অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৩’ রহিতক্রমে নতুনভাবে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে বাংলায় উক্ত আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, উল্লিখিত আইনটি প্রণীত হলে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শাস্ত্রে উচ্চ শিক্ষা, গবেষণা, সেবার মান এবং সুযোগ-সুবিধার সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন ঘটবে। বর্ণিতাবস্থায়, ‘বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন, ২০২৩’ শীর্ষক বিলটি জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।
পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিলটি অধিকতর পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ৪ দিনের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করেন।