বাসস
  ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ১৮:৩৪
আপডেট  : ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ১৯:০৬

ভোলায় ঘূর্ণিঝড় হামুন থেকে রক্ষা পেতে আশ্রয় কেন্দ্রে আসছে মানুষ

// হাসনাইন আহমেদ মুন্না //
ভোলা, ২৪ অক্টোবর, ২০২৩ (বাসস) : জেলায় ঘূর্ণিঝড় হামুনের হাত থেকে রক্ষা পেতে আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে মানুষ। স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যেগে বিভিন্ন উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে আনা হচ্ছে। 
দুর্যোগ মোকাবেলায় উপজেলাগুলোতে সরকারিভাবে চাল ও নগদ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উপকূলজুড়ে জনসাধারণকে সতর্ক করতে কাজ করছে সিপিপি ও রেডক্রিসেন্ট’র ১৫ হাজার ৮৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক।
জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান আজ বিকেলে বাসস’কে বলেন, ইতোমধ্যে চরফ্যাশন, মনপুরা, দৌলতখান ও তজুমদ্দিন উপজেলার ৩ হাজারেরও অধিক মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে। বাকিদের আনতে আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আশা করা হচ্ছে রাত ৮ টার মধ্যে ঝুঁকিতে থাকা সবাইকে নিরাপদে সরিয়ে আনা সম্ভব হবে। আশ্রয় কেন্দ্রে আসা মানুষদের খাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত চাল ও নগদ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। 
জেলা সিভিল সার্জন ডা. কে এম সফিকুজ্জামান জানান, দুর্যোগকালীন সময়ের জন্য ৯৮টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তারা মাঠে নেমে গেছে।
জেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি’র উপ-পরিচালক মো. আব্দুর রশিদ বলেন, আমাদের ১৩ হাজার ৮৬০ জন সেচ্ছাসেবক মাঠে কাজ করছে। তারা জনসাধারণকে সতর্ক করাসহ নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে সহায়তা করছেন।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে ভোলায় সকাল থেকেই আকাশ মেঘে ঢাকা রয়েছে। একইসাথে থেমে থেমে গুড়ি-গুড়ি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। উত্তাল রয়েছে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী।