শিরোনাম
॥ মলয় কুমার দত্ত ॥
সিলেট, ২৭ অক্টোবর, ২০২৩ (বাসস): সিলেট শহরের অনতিদূরেই দক্ষীণ সুরমা উপজেলার জৈনপুর গ্রামে অবস্থিত প্রাচীন পীঠস্থান শ্রী শ্রী মহালক্ষ্মী ভৈরবী গ্রীবা মহাপীঠ যেন কালের সাক্ষী হয়ে রয়েছে যুগ যুগ ধরে।
কিংবদন্তি অনুসারে, সত্য যুগের কোনও এক সময়ে মহাদেবের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য দক্ষ রাজা বৃহস্পতি নামে এক যজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন।
কন্যা সতী দেবী তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে 'যোগী' মহাদেবকে বিবাহ করায় দক্ষ ক্ষুব্ধ ছিলেন। দক্ষ মহাদেব ও সতী দেবী ছাড়া প্রায় সকল দেব-দেবীকে নিমন্ত্রণ করেছিলেন। মহাদেবের অনিচ্ছা সত্ত্বেও সতী দেবী মহাদেবের অনুসারীদের সাথে নিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। দক্ষ দেবী মহামায়াকে কথা দিয়ে ছিলেন তিনি তার কোন রূপ অপমান করলে তিনি তাকে ত্যাগ করবেন
কিন্তু সতী দেবী আমন্ত্রিত অতিথি না হওয়ায় তাকে যথাযোগ্য সম্মান দেওয়া হয়নি। অধিকন্তু দক্ষ মহাদেবকে অপমান করেন। সতী দেবী তার স্বামীর প্রতি পিতার এ অপমান সহ্য করতে না পেরে যোগবলে আত্মাহুতি দেন।
শোকাহত ও রাগান্বিত হয়ে দক্ষর যজ্ঞ ভ-ুল করেন এবং সতী দেবীর মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রলয় নৃত্য শুরু করেন। অন্যান্য দেবতা অনুরোধ করে এই নৃত্য থামান এবং বিষ্ণুদেব তার সুদর্শন চক্র দ্বারা সতী দেবীর মৃতদেহ ছেদন করেন। এতে সতী মাতার দেহখ-সমূহ ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পড়ে এবং পবিত্র পীঠস্থান (শক্তিপীঠ) হিসেবে পরিচিতি পায়]
সকল শক্তিপীঠসমূহে শক্তিদেবী ভৈরবের সাথে অবস্থান করেন। শক্তিপীঠের সংখ্যা ৫১ টি।
শক্তিপীঠ হিন্দুধর্মের পবিত্রতম তীর্থগুলির অন্যতম। লোকবিশ্বাস অনুসারে, শক্তিপীঠ নামাঙ্কিত তীর্থগুলিতে দেবী দাক্ষায়ণী সতীর দেহের নানান অঙ্গ প্রস্তরীভূত অবস্থায় রক্ষিত আছে। সাধারণত ৫১টি শক্তিপীঠের কথা বলা হয়ে থাকলেও, শাস্ত্রভেদে পীঠের সংখ্যা ও অবস্থান নিয়ে মতভেদ আছে। বাংলাদেশের সীতাকু- (চট্টগ্রাম), যশোরেশ্বরী (সাতক্ষীরা), ভবানীপুর (বগুড়া) ও মহালক্ষ্মী ভৈরবী গ্রীবা মহাপীঠ (সিলেট) ইত্যাদি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তিপীঠ।
সিলেট শহরের কেন্দ্র স্থল থেকে ৩ কিলোমিটার দক্ষিণে জৈনপুর গ্রামে সতী দেহের গ্রীবা বা ঘাড়ের অংশ পতিত স্থানই দেবী মহালক্ষ্মী নামে পূজিত এবং ঐ পীঠস্থানের অনতিদূরে ঈশান কোণে গোটাটিকরে সুউঁচ্চ টিলার উপর পীঠরক্ষী ভৈরব সর্বানন্দ নামে পূজিত হচ্ছেন। এখানেই মাতার গ্রীবা পতিত হয়েছিলো।
এই মন্দিরে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ বেশ কিছু স্থান থেকে ভক্তরা আসেন মাতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে।
অনেকে মানত নিয়েও আসেন। প্রতিদিন সকালে সূর্যোদয়ের পর পূজার মাধ্যমে শুরু হয় মন্দিরের কার্যক্রম।
ভক্তদের জন্য মন্দিরের দরজা খুলে দেয়া হয় সকাল ৯টায়। মন্দিরে ভোর ৬টায় গিয়ে উপস্থিত হলে মন্দিরের পুরোহীত দুলু চক্রবতী জানান, অনেকেই ভোরে চলে আসেন। কোন ভক্তকেই ফেরান না তারা।
সারা বছরই ভক্তদের আনাগোনা থাকে এখানে। দৈনিক সকাল, দুপুর ও সন্ধ্যায় নিত্যপূজার আয়োজন করা হয় এখানে। যা মা দেবী স্বয়ং এই মন্দিরের নির্মাতাকে স্বপ্নের মাধ্যমে জানিয়েছিলেন।
এ ছাড়াও প্রতি বছর চৈত্র মাসে (মার্চ-এপ্রিল) বিশেষ পূজার আয়োজন করা হয় এই শক্তিপিঠকে ঘিরে। অতি প্রাচীনকাল থেকে প্রতিদিন নিত্যপূজাসহ প্রতি বছরের অশোকা তিথীতে এখানে শ্রী শ্রী মহালক্ষ্মী ভৈরবী দেবীর তিনদিন ব্যাপী (অশোকা সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী) বাৎসরিক পূজা অনুষ্ঠিত হয় এবং দেশ-বিদেশের বহু ভক্ত-অনুরাগীর সমাগম ঘটে। দুর্গাপূজার আয়োজন শক্তিপিঠকে ঘিরে ২০ শতক জমির ওপর না করে ভিন্ন একটি মন্ডপে আয়োজন করা হয় যেখানে প্রতি বছর পূজা আর্চনায় শামিল হতে সারা দেশ এমনকি বিদেশ থেকেও আসেন হাজার হাজার ভক্ত।
এই মন্দিরের বিশেষত্ব হলো, মন্দিরটির চারপাশে দেয়াল থাকলেও উপরের অংশটি উন্মুক্ত। মাতার ইচ্ছায় এমনটি করা হয়েছে বলে জানান ৪১ বছর বয়সী পুরহিত শ্রী ধুলু চক্রবর্তী। তিনি বলেন, এই মন্দিরকে ঘিরে ভক্তদের রয়েছে অন্যরকম এক আধ্যাত্মিক টান। এখানে এসে অনেকেই নিজেদের দুঃখ-কষ্ট ভুলে যান। মাতার কাছে দুই হাত জোর করে নিজেদের চাওয়া-পাওয়ার কথা জানান। মাতাও তাদেরকে মন ভরে দেন। মূল মন্দিরের অভ্যন্তরে কোন বলির ব্যবস্থা না থাকলেও ভক্তদের অনুরোধে মন্দির এলাকার মধ্যে বলিদান এবং পূজা আর্চনার কার্যক্রম পরিচালিত হয় বলেও জানান তিনি।
নিত্য পূজায় প্রতিদিন সন্ধায় সবচাইতে বেশি ভক্ত আসেন বলে জানান পুরহিত। এ সময় পুরহিত মন্ত্র পাঠ করেন, জয় মা, জগৎ মাতা মঙ্গলচন্ডী করুণাময়ী বিপদতারিনী, শ্মশান কালী, ব্রহ্মা বিষ্ণু মহাস্বরা কামাকলি ... ভক্তরা এ সময় হাত জোর করে সেই মন্ত্রপাঠ শোনেন এবং ব্যকুল হয়ে চেয়ে থাকেন লাল শাড়িতে জড়িয়ে রাখা মাতার গ্রীবার দিকে।
পুরহিত জানান, প্রতিদিন মাতাকে নতুন একটি শাড়িকে বরণ করে নেয়া হয়। তবে স্বণালঙ্কার বা অন্য কোন ব্যবহার্য জিনিস এই মন্দিরে ব্যবহার করা হয় না।
এই মন্দিরটিতে ঠিক কবে থেকে পূজা আর্চনা হচ্ছে তা সঠিকভাবে জানেন না কেউ। তবে সকলেই একমত যে ১৭৮৬ সালে যখন মহালক্ষী স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয় মন্দিরের কোল ঘেষে, তখন থেকেই মন্দিরটিতে এই স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা নিয়মিত পূজা আর্চনা করে যাচ্ছেন। এখানে মাতার গ্রীবাকে খুজে পাওয়া নিয়ে রয়েছে অলৌকিক এক ঘটনা।
শক্তি সাধনার দিক দিয়ে শ্রীহট্ট (বর্তমান সিলেট) এক উল্লেখযোগ্য স্থান অধিকার করেছে। এটি বর্তমানে মুসলিমদের বিভিন্ন মাজার ও দরগা শরীফের জন্য পূন্যভূমি বলা হলেও হিন্দু ধর্মাবলম্বিদের জন্যও এটি পূন্যভূমি। এখানেই শ্রী চৌতন্য দেব জন্মগ্রহণ করেন যাকে কলিযুগের অবতার মনে করা হয়। তার মন্দিরও এই সিলেটে অবস্থিত। এমনকি সিলেটের নামকরণ শ্রীহট্ট থেকে আসা যা শ্রী চৈতন্য দেবের নামা অনুসারে।
শক্তি পিঠ কিভাবে মিললো? মূল চারটি পীঠের মধ্যে এটি শ্রীহট্টের ঠিক কোন স্থানে দেবীর পবিত্র দেহাংশ পতিত হয়েছিল তা বহুদিন মানুষের অজানা ছিল। ১৭০০ শতকের মধ্যে শ্রীহট্ট শহর থেকে দেড় মাইল দূরে গোটাটিকর গ্রামে জৈনপুরে রাস্তা তৈরির কাজ চলছিল। তৎকালীন জমিদার দেবীপ্রসাদ দাশ নামক এক ব্যক্তি এই কাজে কিছু লোককে নিযুক্ত করেন। রাস্তায় কাজ করতে করতে তাঁর লোকেরা পথের মধ্যে একটি বৃহৎ পাথর খ- দেখে তা তুলে ফেলতে চেষ্টা করে। এই সময় পাথর কাটার যন্ত্রের আঘাতে একটি অংশ টুকরো হয়ে মূল অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। যে ব্যক্তির যন্ত্রের আঘাতে পাথরটি ভেঙে যায় সেই ব্যক্তিকে ঐ সময় দেবী বালিকা বেশে দেখা দেন এবং গালে আঘাত করেন। এই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঐ ব্যক্তির মৃত্যু হয়। অন্যদিকে বিচ্ছিন্ন হওয়া ও পাথরটি থেকে রক্ত বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। কর্মরত সমস্ত লোকেরা এই অলৌকিক ঘটনায় ভীত হয়ে পালিয়ে চলে যান ও দেবীপ্রসাদকে গিয়ে সমস্ত ঘটনা জানান।
দেবী ঐ রাত্রে দেবীপ্রসাদকে স্বপ্নে দেখা দিয়ে বলেন, 'এই স্থান পবিত্র পীঠস্থান, আমি পীঠের দেবী ভৈরবী মহালক্ষ্মী । তোমার লোক আমার দেহে আঘাত করেছে, কাল যত দ্রুত সম্ভব আমার পূজোর ব্যবস্থা কর। দেবীভক্ত দেবীপ্রসাদ স্বপ্নাদেশ পেয়ে সেই পবিত্র কালো পাথর খ-টিতে নিত্য পূজোর ব্যবস্থা করলেন এবং এক লক্ষ ইট দিয়ে এক বিরাট মন্দির তৈরি করবেন বলে ঠিক করেন। কিন্তু দেবী তখন আবার তাঁকে স্বপ্নে আদেশ দিলেন মন্দিরের মধ্যে বন্ধ হয়ে তিনি থাকতে চান না। দেবীপ্রসাদ তখন পবিত্র পাথরের চারদিকে বিশাল প্রাচীর দিয়ে ঘিরে দিলেন। কিন্তু উপরের অংশটি উন্মুক্ত রেখে দিলেন। সেই থেকে এ স্থানে মহালক্ষ্মী ভৈরবী দেবী হিসাবে তিনি পূজিত হয়ে আসছেন।
এইভাবে দেবী প্রকাশিতা হলেও ভৈরব পীঠ গুপ্ত রয়ে যায়। তারপর বহুদিন কেটে যাবার পর একদিন পূর্ণানন্দ নামে এক বিরাট সাধক শ্রীহট্টে আসেন। তিনি তাঁর সাধনার জন্য এই জৈনপুরের পীঠস্থানে প্রায়ই আসতেন। পূর্ণানন্দের সন্যাস নাম ছিল ব্রহ্মানন্দগিরি। তিনি তপস্যা মাধ্যমে জানতে পারেন, দেবী মহালক্ষ্মী মন্দিরের অদূরে যে শিবটিলা বলে উঁচু জমি রয়েছে, সেই টিলার মধ্যেই গুপ্ত রয়েছেন ভৈরব সর্বানন্দ।
তিনি সাধনার মাধ্যমে জানতে পারলেও ভৈরবকে প্রকাশিত করার চেষ্টা করলেন না। কেবল এক গভীর রাত্রে তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে উপস্থিত হলেন সেই জঙ্গলে পরিপূর্ণ শিবটিলায়।
টিলার মাথায় উঠে ব্রহ্মানন্দ বললেন, 'দেবী মহালক্ষ্মী হলেন পীঠদেবী এবং এই টিলার মধ্যে রয়েছেন দেবীর ভৈবর- একথা তোমরা ভুলে যেও না। এরপর ১২৮১ বঙ্গাব্দে ব্রহ্মানন্দ দেহত্যাগ করেন। ১২৮৬ সালের মাঘ মাসে ব্রহ্মানন্দের সঙ্গীদের মধ্যে একজন বিরজা নাথ ন্যায়বাগীশ এক রাত্রে স্বপ্ন দেখেন স্বয়ং ব্রহ্মানন্দগিরি আরও দু'জন সঙ্গীকে নিয়ে তাকে বলছেন, 'চল শিবটিলায় মহাদেব রয়েছেন, তাঁকে প্রকাশ করি, এরপর তাঁরা শিবটিলার মাটি খুঁড়ে শিব দেখতে পেলেন, এই অদ্ভুত স্বপ্ন দেখেও বিরজা নাথ কাউকে জানালেন না। কিন্তু স্বপ্নের কথা ভাবতে থাকলেন, ক্রমে ভোর হলে বিরজা নাথ দেখলেন তাঁরই দুই ছাত্র এসে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে। কারণ জানতে চাইলে তাঁরা বললেন, যে স্বপ্ন বিরজা নাথ দেখেছেন, ঠিক সেই স্বপ্ন ব্রহ্মানন্দগিরি তাঁদেরও দেখিয়েছেন। তিনজনে একই স্বপ্ন প্রাপ্ত হয়েছেন জেনে বিস্ময় প্রকাশের পর বিরজা নাথ দুই ছাত্রকে সঙ্গে করে শিবটিলায় যান এবং যেমন ভাবে তাঁরা স্বপ্নে দেখেছিলেন তেমন ভাবেই মাটি খোঁড়া শুরু করেন। খোঁড়ার প্রথমেই একখ- পাথর যাওয়া যায়, সেই পাথর সরাতেই শিবলিঙ্গের মাথা দেখা যায়। তারপর আরও গভীরে গিয়ে গৌরীপট সমেত শিবলিঙ্গের দেখা পেলেন তিনজন। বিরজা নাথের দুই ছাত্রের নাম হল কৃষ্ণকুমার ভট্টাচার্য ও কৈলাসচন্দ্র ভট্টাচার্য। এই কৈলাসচন্দ্র ভট্টাচার্যের একটি স্মৃতিকথার অংশ আমরা পাই ‘সতীপীঠ পরিক্রমা' গ্রন্থে।
জৈনপুরে গ্রীবা পীঠের ঈশান কোণে আবির্ভূত মহাদেব সর্বানন্দ ভৈরব পূজিত হয়ে আসছেন। এইজন্যই এই পীঠস্থানের অকাঠ্য ও প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পীঠস্থানের ঈশান কোণে পীঠরক্ষ্মীরূপে মহাদেব ভৈরব এর অবস্থান।
এই মাতার শক্তিপিঠকে ঘিরে গড়ে ওঠার মন্দিরটি ১২০ শতক জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত। এর মূল শক্তিপিঠ মন্দিরটি অবস্থিত ২০ শতক জমির ওপর। এ ছাড়াও দূর্গাপূজার জন্য পৃথক স্থান, ভক্তদের বিশ্রামাগার ও মন্দির কমিটির অফিসরূম সহ আরও বেশ কিছু স্থাপনা নির্মিত হচ্ছে মন্দিরটিকে ঘিরে।
এই মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনার্দন চক্রবর্তী মিন্টু প্রায় ৪ পুরুষ ধরে এই মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। তিনি বলেন, আমরা যতটুকু জানতে পারি তা হলো ১৭৮৬ সাল থেকে দেবিভক্ত জমিদার দেবীপ্রসাদ দাশ ও পরবর্তীতে তার পরিবার এই শক্তি পিঠের রক্ষণাবেক্ষণ ও পূজা আর্চনা করে এসেছেন। কিন্তু ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর অনেকের মত এই জমিদারের বংশধররাও আশ্রয় নেন ভারতে। যার অন্যতম কারণ ১৯৫০ সালে জমিদার প্রথা বিলোপ। এরপর থেকে আমরা স্থানীয়রা মন্দির কমিটি তৈরির মাধ্যমে মাতার শক্তিপিঠের পূজা আর্চনা ও কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। ভক্তদের জন্য আরও অনেক সুযোগ সুবিধা তৈরি আমাদের লক্ষ্য।
বিগত ১০ বছর ধরে মন্দিরের উন্নয়ন কাজে গতি এসেছে জানিয়ে মন্দির কমিটির সভাপতি শিবব্রত ভৌমিক চন্দন বলেন, এই মন্দিরের অনেক জমি বেদখল হয়ে ছিলো। বিশেষত ২০০৩ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত মন্দিরের জমি দখল করে নেয়ার চেষ্টা করে। মাতার আশীর্বাদে এখন অধিকাংশ জমি আমরা ফেরত পেয়েছি। আরও ৪৪ শতাংশ জমি নিয়ে মামলা চলছে হাইকোর্টে। আশা করি সেটিও আমরা পেয়ে যাবো। এখানে ভক্তরা যেনো স্নান করে মাতার পূজা করতে পারে সে জন্য বহুতল বিশিষ্ট অতিথীশালা তৈরি করা হচ্ছে।
মন্দির দর্শনে আসা একাধিক ভক্তদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, এখানে আসলে আমাদের আত্মায় এক ধরণের প্রশান্তি অনুভব করি। এখানে মাতা কাউকে খালি হাতে ফেরান না।