বাসস
  ২৯ অক্টোবর ২০২৩, ১৮:৩৮
আপডেট  : ২৯ অক্টোবর ২০২৩, ১৮:৪৫

দেশের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিস্কার-পচ্ছিন্নতা সপ্তাহের শুরু

ঢাকা, ২৯ অক্টোবর, ২০২৩ (বাসস) : ‘নিজ আঙিনা পরিস্কার রাখি, সবাই মিলে সুস্থ থাকি’-এই প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় আজ ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিস্কার-পচ্ছিন্নতা সপ্তাহ-২০২৩ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের আয়োজনে আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।
বাসসের জেলা সংবাদদাতারা জানান-
ভোলা: সকালে জেলা প্রশাসনের বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক। জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তামিম আল ইয়ামীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন চন্দ্র সরকার, ভোলা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ডা. মো. মনিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম, ডা. ফাহমিদ খান, জেলা শিক্ষা অফিসার দীপক হালদার, জেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম প্রমুখ। এসময় সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, জনপ্রতিনিধি, এনজিও কর্মীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। প্রথম দিনে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের আশ-পাশসহ বিভিন্ন এলাকায় স্বেচ্ছাসেবকরা পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। সপ্তাহব্যাপী সকাল ৯টা থেকে বিকাল পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা নির্ধারণ করে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হবে।
নাটোর: সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সিভিল ডা. মুহাম্মদ মশিউর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মাছুদুর রহমান, নাটোর পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল হক, নাটোর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান প্রমুখ।
টুঙ্গিপাড়া: সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালনক মো. আজহারুল ইসলাম। এসময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহসিন উদ্দিন, উপজেলা কমিশনার ভূমি (এ্যাসিল্যান্ড) শাম্মী কায়সার, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, রোবার স্কাউটের সদস্য, গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 
মেহেরপুর: দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক মো. শামীম হাসান প্রধান অতিথি থেকে এ সপ্তাহের উদ্বোধন করেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. শামীম হোসেন রেজার সভাপতিত্বে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. জমির মো. হাসিবুস সাত্তার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড. আব্দুস সালাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল আহসান প্রমুখ। পরে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে থেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা শুরু করেন নেতৃবৃন্দ।
চাঁদপুর: সকালে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান। স্থানীয় সরকারে উপ-পরিচালক অপর্না বৈদ্য এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আখতার জাহান সাথীর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন- বাগাদী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বিল্লাল, বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল্যা পাটওয়ারীসহ অংশীজন। সভায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধিসহ রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে নির্বাচিত ১১৮টি হটস্পট জায়গা পর্যায়ক্রমে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অভিযান পরিচালনা করা হবে। 
হবিগঞ্জ: দুপুরে হবিগঞ্জ পৌর বাস টার্মিনালে জেলায় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) মুহাম্মদ সাদিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নূরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন- হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম, হবিগঞ্জ মোটর গ্রুপের সভাপতি ফজলুর রহমান চৌধুরী, জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. সজিব আলী। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সরকারি কর্মকর্তা, পৌরসভার কাউন্সিলরসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজন। পরে উপস্থিত হবিগঞ্জ পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের মধ্যে ময়লা ফেলার বিন বিতরণ করা হয়। অভিযানে ৪০ জন স্বেচ্ছাসেবকছাড়াও পৌরসভার কর্মী এবং বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করছেন। জেলা প্রশাসন পরিচ্ছন্নতা অভিযানে যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাল কাজ করবে তাদেরকে পুরস্কৃত করবে।
দেশের সবগুলো সভায় বক্তারা প্রায় অভিন্ন সুরে বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবার আগে নিজেকে সুরক্ষা দিতে হবে। মশার আবাসস্থল ধ্বংস করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সচেতনতা সৃষ্টিতে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে বাড়ির আশপাশে এবং জলাধার-ঝোপ-জঙ্গলসহ এর প্রজনন স্থান ও আবাসস্থল নির্মূল এবং পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা গেলে আগামী বছরগুলোতে ডেঙ্গুর হাত থেকে অনেকটাই রক্ষা পাওয়া যাবে। তাই সাধারণ মানুষকে সচেতনতা কার্যক্রমের আওতায় আনতে আরো প্রচার-প্রচারণার উপর জোর দেন তারা।