শিরোনাম
ঢাকা, ৩০ অক্টোবর, ২০২৩ (বাসস) : পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ডিজিটাল বিভাজন কমিয়ে আনা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ পুরো দেশের মানুষকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণে একটি ওপেন প্ল্যাটফর্ম অবকাঠামো নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা তৈরি হয়েছে। এই অবকাঠামোর নাম ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার (ডিপিআই)। দেশের প্রেক্ষাপটে ডিপিআই কোনো স্বপ্ন নয়, বরং একে বাস্তবে রূপ দেওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
মন্ত্রী আজ সোমবার ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার (ডিপিআই) এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এর সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ডিজিটাল বৈষম্যহীন বিশ্ব গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ-এর সহযোগিতায় ও এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই এর উদ্যোগে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ডিপিআই অ্যান্ড এআই ফর জিরো ডিজিটাল ডিভাইড’ শীর্ষক দুই-দিনব্যাপী এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আইসিটি বিভাগ-এর প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
স্মার্ট রাষ্ট্র বিনির্মাণে ডিপিআই কীভাবে অবদান রাখতে পারে, সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয় সেশনে। সেশনগুলোতে আলোচকরা ডিজিটাল ইকোনমিতে ডিপিআইয়ের গুরুত্ব বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। এছাড়া ওপেন প্লাটফর্মের মাধ্যমে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জুডিশিয়ারি, ফিনটেক প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি শেয়ার, পলিসি, সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং বহুপাক্ষিক ও বৈশ্বিক সমস্যার সমাধানে প্ল্যাটফর্ম তৈরির বিষয়ে আলোচনা হয়।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর সিনিয়র সহ-সভাপতি সামিরা জুবেরী হিমিকার সঞ্চালনায় জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেলের প্রযুক্তি বিষয়ক দূত আমানদীপ সিং গিল বিশ্বে জিরো ডিজিটাল ডিভাইড কাজ করার গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেন। এসময় ‘প্রযুক্তি কেন মানুষের জন্য’ এবিষয়ে আলোচনা করেন গুগল-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. ভিন্ট সার্ফ এবং পিপল-সেন্টার্ড ইন্টারনেট-এর চেয়ারম্যান মেই লিন ফাং এবং ইন্টারনেটে ইন্টারওপারেবল সফটওয়্যার লেয়ার গড়ে তোলার বিষয়ে আলোচনা করেন ইনফোসিস লিমিটেডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান নন্দন নিলেকানি। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ডিপিআই এর অবদান নিয়ে আলোচনা করেন হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড এভস এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ডিপিআই এর সম্ভাবনার চিত্র তুলে ধরেন এটুআই এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী। ডিপিআই এর দক্ষতা এবং ইন্টারঅপারেবিলিটি নিয়ে আলোচনা করেন এস্তোনিয়া সরকারের সাবেক সরকারি সিআইও সিম সিকুট।
সম্মেলন উদ্বোধনের পরে ডিজিটাল বৈষম্য কমিয়ে এনে টেকসই বিশ্ব গড়তে এআই এর অবদান নিয়ে মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগ এর অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভূমিকা নিয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক এবং ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন-এর অধ্যাপক এবং যুক্তরাজ্যের নেস্তা’র সাবেক প্রধান নির্বাহী স্যার জিওফ মুলগান।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দেশের সরকারি-বেসরকারি খাতের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, উদ্যোক্তা এবং দেশ-বিদেশের আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞসহ তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ এবং এটুআই-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।