শিরোনাম
॥ মনোজ কুমার সাহা ॥
টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ), ৩১ অক্টোবর, ২০২৩ (বাসস): গোপালগঞ্জে ভোজ্য তেলের উৎপাদন বৃদ্ধির
লক্ষ্যে চিনাবাদামে বিনামূল্যে প্রণোদনার সার-বীজ পাচ্ছেন ৬৮০ জন কৃষক।
২০২৩-২৪ অর্থ বছরে আসন্ন রবি মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় জেলার ৫ উপজেলার সার-বীজ বিতরণ করা হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপরিচালক আঃ কাদের সরদার এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ তথ্য জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, চিনাবাদাম উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ২০০ জন কৃষক, মুকসুদপুর উপজেলায় ১৫০ জন কৃষক, কাশিয়ানী উপজেলায় ১৩০ জন কৃষক, কোটালীপাড়া উপজেলায় ১০০ জন কৃষক ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ১০০ জন কৃষক চিনাবাদামে প্রণোদনা পাবেন।
প্রত্যেক কৃষককে ১ বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমি আবাদের জন্য ১০ কেজি করে চিনাবাদাম বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ৫ কেজি করে এমওপি সার বিনামূলে দেওয়া হবে। সেজন্য ৬ হাজার ৮০০ কেজি বীজ, ৬ হাজার ৮০০ কেজি ডিএপি সার ও ৩ হাজার ৪০০ কেজি এমওপি সার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জে বরাদ্দের চিঠি এসেছে বলে ওই কর্মকর্তা বাসসকে জানান।
ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ২ হাজার কেজি বীজ, ২ হাজার কেজি ডিএপি সার ও ১ হাজার কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হবে। মুকসুদপুর উপজেলায় ১ হাজার ৫০০ কেজি বীজ, ১ হাজার ৫০০ কেজি ডিএপি সার ও ৭৫০ কেজি এমওপি সার বরাদ্দ পাওয়া গেছে। কাশিয়ানী উপজেলায় ১ হাজার ৩০০ কেজি বীজ , ১ হাজার ৩০০ কেজি ডিএপি সার ও ৬৫০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হবে। কোটালীপাড়া উপজেলায় ১ হাজার কেজি চিনাবাদাম বীজ, ১ হাজার কেজি ডিএপি সার ও ৫০০ কেজি এমওপি সারের সহায়তা পাচ্ছেন কৃষক। টুঙ্গিপাড়ায় ১ হাজার কেজি বীজ, ১ হাজার কেজি ডিএপি সার ও ৫০০ কেজি এমওপি সার পাবেন কৃষক।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সঞ্জয় কুন্ডু বলেন, প্রণোদনার সার-বীজ পেয়ে কৃষক ৬৮০ বিঘা জমিতে চিনাবাদামের আবাদ করবেন। চিনাবাদামের আবাদ করে কৃষক ভোজ্য তেলের উৎপাদন বৃদ্ধি করবেন।
গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের রাধাগঞ্জ গ্রামের কৃষক নাদের আলী মিয়া (৫২) বলেন, এ বছর বাদামের বাজার দর বেশ ভালো। বাজারে বাদামের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আমি বরি মৌসুমে ১ বিঘা জমিতে চিনাবাদাম আবাদের সরকারি প্রণোদনা পাচ্ছি। কিন্তু আমি অন্তত ৫ বিঘা জমিতে লাভজনক চিনাবাদামের আবাদ করব। এতে এক দিকে যেমন দেশের ভোজ্য তেলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি এ তেলের আমাদানী নির্ভরতা কমবে। বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করে আমরা দেশকে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাব। দেশকে এগিয়ে নিতে আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করে যাব।