বাসস
  ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:৫৫
আপডেট  : ৩১ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:৫৯

জেলা মডেল মসজিদ উদ্বোধনে গোপালগঞ্জের মুসল্লিরা খুশি

॥ মনোজ কুমার সাহা ॥
টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ), ৩১ অক্টোবর, ২০২৩ (বাসস): আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত জেলা মডেল মসজিদ উদ্বোধন হওয়ায় গোপালগঞ্জ জেলা সদরের মুসল্লীরা খুশি। এখন থেকে তারা শীততাপ নিয়ন্ত্রিত আধুনিক এ মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারবেন।তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান এবং তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ষষ্ঠ পর্বে গতকাল সোমবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চীন ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে জাতীয় ইমাম মম্মেলন ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে   ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রর উদ্বোধন করেন । উদ্বোধনকৃত ৫০ টি মডেল মসজিদের মধ্যে গোপালগঞ্জ জেলা মডেল মসজিদ রয়েছে।
গোপালগঞ্জ  শহরের প্রাণকেন্দ্র পুরাতন লঞ্চঘাট এলাকায় ১৪ কোটি ৫৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা ব্যয়ে মসজিদটি বাস্তবায়ন করেছে গোপালগঞ্জ গণপূর্ত অধিদপ্তর।
মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে নারী ও পুরুষদের পৃথক ওজু ও নামায আদায়ের সুবিধা থাকছে। এখানে লাইব্রেরী, গবেষণা ও দীনি দাওয়াত কার্যক্রম, পবিত্র কুরআন হেফজ, শিশু শিক্ষা, অতিথিশালা, বিদেশী পর্যটকদের আবাসন, মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া হজ্জযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ, ইমামদের প্রশিক্ষণ ইত্যাদি ব্যবস্থা রয়েছে আধুনিক এ ইসলামি স্থাপনায় । ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা রয়েছে এখানে।
বাংলাদেশ সরকারের ধর্মমন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ইসলাম ধর্মীয় ইবাদত ও শিক্ষার অনুশীলনের আধুনিক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণের একটি প্রকল্প। এ প্রকল্পের আওতায়  গোপালগঞ্জে জেলা পর্যায়ে ১টি মডেল ও উপজেলা পর্যায়ে ৫ টি  আধুনিক, চিত্তাকর্ষক নিদর্শন ও উন্নত সুযোগ-সুবিধার মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে । আগেই উপজেলা পর্যায়ের টুঙ্গিপাড়া,গোপালগঞ্জ সদর ও মুকসুদপুর উপজেলা মসজিদ নির্মাণ শেষে উদ্বোধন করা হয়েছে। কাশিয়ানী উপজেলা মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আর কোটালীপাড়া উপজেলা মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে বলে জানান গোপালগঞ্জ গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান ।
গোপালগঞ্জ ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্রে জানাগেছে,  গোপালগঞ্জ  জেলা মডেল মসজিদ  ৪ তলা বিশিষ্ট ।  প্রতি ফ্লোরের আয়তন ২৩৬০ দশমিক ০৯ বর্গমিটার। এ মসজিদে একসঙ্গে ১ হাজার ২০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।
গোপালগঞ্জ শহরের কোর্ট মসজিদের ইমাম মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, জেলাবাসীর কাছে ইসলামের সঠিক বাণী পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে সরকার এ মসজিদ নির্মাণ করেছে। এখন থেকে আমরা শীততাপ নিয়ন্ত্রিত  এ মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারব ।তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি। ইসলামের খেদমতে এমন মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ  ।
গোপালগঞ্জ গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান বলেন, গত ২০২২ সালের মার্চ থেকে জেলা মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ইতিমধ্যে আধুনিক, চিত্তাকর্ষক নিদর্শন ও উন্নত সুযোগ-সুবিধার মসজিদের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।এখানে এক সাথে ১ হাজার ২০০ মুসল্লী একসাথে নামাজ আদায় করতে পারবেন।  
গোপালগঞ্জ শহরের পুরাতন লঞ্চঘাট এলাকার বাসিন্দা শফিকুর রহমান বলেন, আধুনিক ইসলামী স্থাপত্যের আদলে নির্মিত জেলা মডেল মসজিদটি এলাকার সৌন্দর্য বর্ধণ করেছে। এটি ইসলাম চর্চার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে।এখানে একসাথে ১ হাজারে বেশি মানুষ নামাজ আদায় করতে পারব। শহরের প্রাণকেন্দ্র এমন স্থাপনা নির্মাণ করে দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।