শিরোনাম
ঢাকা, ৩১ অক্টোবর, ২০২৩ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, আমাদের যুবসমাজকে পরিপূর্ণ দক্ষ, আধুনিক ও সচেতনরূপে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করছে।
তিনি বলেন, ‘তাদের অনেকেই আজ সফল আত্মকর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। এদেশের প্রশিক্ষিত যুবরা বিদেশেও কর্মসংস্থানের সুযোগ করে নিয়েছে এবং দেশের জন্য মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে।’
আগামীকাল ‘জাতীয় যুব দিবস’ উপলক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য “স্মার্ট যুব সমৃদ্ধ দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’।
মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘কর্মবিমুখতা, কুসংস্কার, মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদসহ সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে একটি জ্ঞানমুখী, প্রশিক্ষিত ও আদর্শ যুবসমাজই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। যুবদের নিজেদেরকে দক্ষ, আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক, পরমতসহিষ্ণু, উদার ও নৈতিকতা বোধসম্পন্ন বিবেকবান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশপ্রেমের মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের তেজোদীপ্ত, প্রশিক্ষিত ও দক্ষ যুবসমাজ অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে এটাই সকলের প্রত্যাশা।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘যুবরাই জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রধান নিয়ামক। সাহসী, অদম্য, প্রতিশ্রুতিশীল এবং সৃজনশীল যুবসমাজ যে কোনো দেশের জন্য সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ দেশের যুবসমাজ মুক্তি সংগ্রামের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ত্যাগ, তিতীক্ষা ও আত্মোৎসর্গের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনে কাঙ্খিত স্বাধীনতা। ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামসহ বিভিন্ন সংকট উত্তরণে যুবসমাজের গৌরবোজ্জ্বল অবদান জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে।’
সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার বৃহৎ অংশই যুবসমাজ, যাদের বয়সসীমা ১৮ হতে ৩৫ বছর। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ অর্জনসহ বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরের লক্ষ্য অর্জনে এ জনমিতিক সুবিধা কাজে লাগাতে হবে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপিত দেশের তারুণ্যদীপ্ত যুবসমাজকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। তিনি এ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।