শিরোনাম
ঢাকা, ২ নভেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : জাতীয় সংসদে ‘পরিত্যক্ত বাড়ি (সম্পূরক বিধানাবলি) বিল, ২০২৩’ পাস করা হয়েছে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ আজ জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন এবং স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে কণ্ঠভোটে এটি পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর আনীত জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী এবং সামরিক শাসন আমলে জারীকৃত অধ্যাদেশসমূহ বিলুপ্তিপূর্বক নতুন আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে পরিত্যক্ত ভবন (পরিপূরক বিধান) অধ্যাদেশ, ১৯৮৫ সর্বজনের বোধগম্যতার জন্য বাংলায় রূপান্তরসহ পরিত্যক্ত সম্পত্তি সংরক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সময়ের সাথে সাথে কিছু বিষয়ের সংযোজন, বিয়োজন ও পরিমার্জনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংযোজন, বিয়োজন ও পরিমার্জন করা হয়েছে।
নতুন আইনে নিম্নবর্ণিত বাড়িসমূহকে পরিত্যক্ত বাড়ি বলে ঘোষণাপূর্বক এর তালিকা প্রকাশ করতে পারবে- যে সকল বাড়ি আদালতের মাধ্যমে পরিত্যক্ত সম্পত্তি হিসেবে ঘোষিত হয়েছে; যে ব্যক্তির বাড়ি রাষ্ট্রপতির ১৯৭২ সনের ১৬ নম্বর আদেশের অধীন পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত করা হয়েছে ওই ব্যক্তির শহর এলাকায় অবস্থিত অন্য কোনো বাড়ি; আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ (১৯৭৩ সালের আইন নং-১৯) অথবা দ্য বাংলাদেশ কোলাবরেটর (স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল) অর্ডার, ১৯৭২ (পি.ও নং-৮ অব ১৯৭২) এর অধীন এমন কোনো ব্যক্তি যার বাড়ি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হয়েছে এবং স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন তার মালিকানাধীন পরিত্যক্ত বাড়ি যা ওয়ারিশদের অনুকূলে বা অন্য কারো কাছে হস্তান্তরিত হয়েছে এই ধরনের পরিত্যক্ত বাড়ি।
পরিত্যক্ত তালিকা প্রকাশিত হওয়ার তারিখ থেকে ১০৮ দিনের পরিবর্তে সরকারি গেজেটে তালিকা প্রকাশের ১৮০ দিনের মধ্যে ওই তালিকা থেকে ওই বাড়ি বাদ দেয়ার জন্য বা অন্য কোনো প্রতিকারের জন্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, এই যুক্তিতে কোর্ট অব সেটেলমেন্টে আবেদন করতে পারবেন।
কোর্ট অব সেটেলমেন্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি একই আদালতে পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করতে পারবে এবং পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
পরিত্যক্ত বাড়ি নিয়ন্ত্রণ, ব্যবস্থাপনা এবং নিষ্পত্তি সংক্রান্ত ঢাকা বিভাগীয় শহর, অন্যান্য বিভাগীয় শহর এবং জেলা শহরের জন্য সংশোধিত বোর্ড গঠন করা যাবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিত্যক্ত সম্পত্তির বাড়ি (সম্পূরক বিধানাবলি) আইন-২০২৩, প্রবর্তন করা হলে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পরিত্যক্ত সম্পত্তির বাড়িসমূহের সংরক্ষণ, তত্ত্বাবধান এবং পরিত্যক্ত সম্পত্তির বাড়িসমূহের সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং গেজেট হালনাগাদকরণ নিশ্চিত করা যাবে। সার্বিক বিবেচনায় আইনটি প্রবর্তন করা আবশ্যক।
বিল পাসের প্রক্রিয়ায় আলোচনায় অংশ নেন সংসদে বিরোধী দলের সদস্য মুজিবুল হক, ফখরুল ইমাম, রওশন আরা মান্নান, হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, পীর ফজলুর রহমান, রুস্তম আলী ফরাজী, কাজী ফিরোজ রশীদ ও স্বতন্ত্র সদস্য রেজাউল করিম বাবলু।