বাসস
  ০২ নভেম্বর ২০২৩, ১৮:১৯

মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজির করতে কারা পরোয়ানা জারি

ঢাকা, ২ নভেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করতে কারা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম এ পরোয়ানা জারি করেন।
আজ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য ছিল। মির্জা আব্বাস  গ্রেফতার হয়ে শাহজাহানপুর থানার একটা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে আছেন বলে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এরপর  তাকে আগামী ৫ নভেম্বর আদালতে হাজির করতে কারা পরোয়ানা জারি করা হয়। ওইদিন মামলার যুক্তি উপস্থাপন অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালত তার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। ওইদিন এ মামলার সাফাই সাক্ষির জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে মির্জা আব্বাস ও সাফাই সাক্ষিরা আদালতে উপস্থিত না হলে সময়ের আবেদন করা হয়। আদালত সময়ের আবেদন না মঞ্জুর করে মির্জা আব্বাসের জামিন বাতিল করেন। একই সঙ্গে এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য এদিন ধার্য করেন।
মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তদন্তে তার বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ১৬ জুন আদালত এ মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এ মামলার বিচার চলাকালীন আদালত ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর শহীদবাগে অভিযান চালিয়ে মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তার বিরুদ্ধে পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন তার জামিন নামঞ্জুর করে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।