বাসস
  ০৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৮:১২

জয়পুরহাটে ভোলা হত্যা মামলায় ১৪ জনের যাবজ্জীবন

জয়পুরহাট, ৯ নভেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : জেলার পাঁচবিবিতে ভোলা হত্যা মামলার রায়ে ছয় ভাইসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছে আদালত। 
সেইসঙ্গে প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদ-ের আদেশ দেওয়া হয়েছে । বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর ) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র বিচারক মো. নূর ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
জয়পুরহাট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল জানান, সাজা প্রাপ্তরা হচ্ছে- জয়পুরহাটের  পাচঁবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামের বিরাজউদ্দিন মন্ডলের ছেলে, আব্দুল মান্নান, ছানোয়ার হোসেন, সাহাজ হোসেন, আনোয়ার হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, রিয়াজ উদ্দিন ওরফে রেয়াজ,  খয়বর আলীর ছেলে রমজান আলী,  আব্দুল ওহাব, সামছুদ্দিনের ছেলে, ফারুক হোসেন, হাতেম আলীর ছেলে মো: দুলো, আব্দুল খালেক, অফির উদ্দিনের ছেলে শাহজাহান, মজিবর রহমানের ছেলে শফিকুল ইসলাম ও  আব্দুল খালেকের ছেলে আনিছুর রহমান।
আদালত সূত্রে জানাগেছে, ২০০৩ সালের ৫ মে পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামে নিহত ভোলাসহ তারা চার ভাই মিলে পাওয়ার টিলার নিয়ে বাড়ি থেকে মাঠের মধ্যে জমি চাষ করতে যায়। এরপর রাত দেড়টার দিকে জমির পাশে ৪ভাই বিছানা করে শুয়ে পড়েন। এরপর গভীর রাতে হঠাৎ করে জমিতে কাঁদার মধ্যে হাটার শব্দ পান তারা। এসময় তাদের কাছে থাকা টর্চ লাইট জ্বালিয়ে দেখতে পান মুখচেনা কয়েকজন ব্যক্তি পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের দিকে এগিয়ে আসছে। এক পর্যায়ে ভোলাকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে জখম করে তারা। এসময় অন্য ভাইয়েরা চিৎকার করলে তাদের কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাতেই প্রথমে পাঁচবিবির মহীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় । সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে ভোলা মন্ডল মারা যান।  
এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই দোলা মন্ডল বাদী হয়ে ৬ মে পাঁচবিবি থানায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুস সাত্তার ২০০৪ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে ১৪ জনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানী শেষে দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র বিচারক মো. নূর ইসলাম অভিযুক্ত ১৪ জনকে যাবজ্জীবন সাজা ও প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে সাজা দেন। ১৪ জনের মধ্যে মান্নান নামে একজন আসামি পলাতক রয়েছে । মামলায় ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ ম-ল ও আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম ।