বাসস
  ১২ নভেম্বর ২০২৩, ১৯:০৭

সুন্দরবনের দুবলার চরে ঐতিহ্যবাহী ‘রাসপূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান’ ২৫ নভেম্বর শুরু

বাগেরহাট, ১২ নভেম্বর, ২০২৩ (বাসস): সুন্দরবন সংলগ্ন দুবলার চরের আলোরকোলে ঐতিহ্যবাহী ‘রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান’ উপলক্ষে প্রস্তুতিমুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেনের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রস্তুতি সভায় আগামী ২৫ থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত “রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান” অর্থ্যাৎ রাসোৎসবের সময় নির্ধারণ করা হয়। এবার রাসপূর্ণিমা উপলক্ষে কোন মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কীর্ত্তণ হবে না, শুধু রাসপূজা ও পুণ্যস্নান হবে। শুধূমাত্র সনাতন ধর্মালম্বীরা এই পূন্যস্নানে অংশগ্রহন করতে পারবেন। পূন্যার্থীদের প্রবেশের সময় পাশ পারমিট গ্রহন করতে হবে। সুন্দরবনে অবস্থানের সময় কোন প্রকার বন্য প্রানি ধরা, খাওয়া ও সংরক্ষন করা যাবে না। পূন্য স্নানের সময় কুমির থেকে সাবধান থাকতে বলেছে আয়োজকরা।
রাস উৎসবে ভক্ত-দর্শনার্থীদের যাওয়া-আসা নির্বিঘœ করতে পাঁচটি রুট নির্ধারণ করা হয়েছে। রুটগুলো হচ্ছে, ঢাংমারী-চাঁদপাই ষ্টেশন-ত্রিকোনা আইল্যান্ড-বলার চর-আলোরকোল, বগী-বলেশ্বর-সুপতি স্টেশন-কঁচিখালী-শেলারচর-দুবলার চর-আলোরকোল, বুড়িগোয়ালিনী, কোবাদক-বাটুলানদী-বলনদী-পাটকোষ্টা খাল-হংসরাজ নদী-দুবলার চর-আলোরকোল, কয়রা-কাশিয়াবাদ-খাসিটানা-বজবজা-আড়ুয়া শিবসা-শিবসানদী-মরজাত-দুবলার চর-আলোরকোল, নলিয়ান ষ্টেশন-শিবসা-মরজাত নদী-দুবলার চর-আলোরকোল। এই পাঁচটি রুটে যাওয়া-আসা করতে হবে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের।
সভায় বাগেরহাট পুলিশ সুপার  আবুল হাসনাত খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হাফিজ আল আসাদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্র্রেট মো. আরিফুল ইসলাম, বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক অসীম কুমার সমাদ্দার, সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা(ডিএফও) কাজী মোহাম্মদ নুরুল করিম, সহকারি কমিশনার রুবাইয়া বিনতে কাশেম, দুবলারচর রাসোৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি  বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ বসু সন্তু, হিন্দু ধর্মীয় নেতা  মধুসূদন দাম, সুমন মজুর দাসসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
রাসপূর্ণিমা ও পূন্যস্নান উপলক্ষে সুন্দরবনের বন্যপ্রাণি রক্ষায় নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।
প্রায় দুইশ বছর ধরে সুন্দরবনের দুবলার চর-আলোর কোলে রাস পূজা ও রাস পূর্নিমায় স্নান করে থাকে সনাতন ধর্মালম্বীরা। পরবর্তী এই পূজাই সব ধর্মবর্নের মানুষের উৎসবে পরিনত হয়।