শিরোনাম
ঢাকা, ১৪ নভেম্বর, ২০২৩ (বাসস): তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দুই শতাধিক ডায়াবেটিস হাসপাতাল ও প্রতিটি কেন্দ্রে অল্পদিনের মধ্যেই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে সংযুক্ত করে স্মার্ট টেলিমেডিসিন সুবিধা চালু করা হবে।
তিনি আজ বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষ্যে ডায়াবেটিস ফেডারেশন আয়োজিত বারডেম মহিলা ও শিশু হাসপাতালের সভা কক্ষে ‘ডায়াবেটিসের ঝুঁকি জানুন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন’ বিষয়ক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
ইনসুলিন আবিস্কারক বিজ্ঞানী ফ্রেডরিক বেনকিন ও চার্লস বেস্ট এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন করেন। তিনি কমিউনিটি পর্যায়ে গ্রামীণ হাসপাতাল স্থাপন করেছিলেন।
পলক বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও ইন্টারনেটের সেবা দিয়ে প্রতিটি গ্রামকে শহরে পরিণত করেছেন, সারা বাংলাদেশে গত ১৪ বছরে স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। উপজেলা পর্যায়ে ৫০ শয্যার হাসপাতাল, সাড়ে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক, ২৭ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে গ্রামের সাধারণ জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল এবং অর্থনৈতিকভাবে মর্যাদাশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের সর্বত্র ইন্টারনেট সুলভ ও সহজলভ্য করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী টেলিমেডিসিন সেবা দূরবর্তী জায়গা থেকেও পাচ্ছেন।
পলক বলেন, ২০৪১ সাল নাগাদ দেশের প্রত্যেক নাগরিককে সুস্থ-সবল, প্রগতিশীল ও উদ্ভাবনী স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতনতার পাশাপাশি নিয়মিত ডায়াবেটিস পরীক্ষা, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন করতে হবে।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতি’র সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ. কে. আজাদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস ম্যালার, নভো নরডিস্ক’র ভিপি ও জিএম রাজর্ষি দে সরকার।
অনুষ্ঠানে অল্পবয়সে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়া বেশ কয়েকজন তরুণ-তরুণীকে পুরস্কৃত করা হয়।